২৬ মে বাংলার ১১ জৈষ্ঠ্য কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ আয়োজন করেছে একটি অনুষ্ঠান। যেখানে কবির জন্মবাষির্কী উদযাপনের শুভ সূচনার কথা ঘোষণা করা হল। ২৭-২৯ মে চলবে এই অনুষ্ঠান। রাজারহাট-নিউটাউনের অন্তর্গত নজরুল তীর্থে প্রথমদিনের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল। বিশিষ্ট শিল্পীরা কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মরণে এক সুন্দর সাংস্কৃতি সন্ধে উপহার দিলেন অতিথিদের। এমনভাবে তিনদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠান চলবে। শুধু নজরুল তীর্থ নয়, রবীন্দ্রসদন, শিশির মঞ্চ, একতারা মুক্তমঞ্চ আর বাংলা আকাডেমি সভাঘরে চলবে কবির জন্মোৎসব পালন।
তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব শান্তনু বসু অনুষ্ঠানে সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কবির স্মরণে অনুষ্ঠানের পাশাপাশি গুণী ব্যক্তিদের পুরস্কৃতও করা হবে। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাডেমির তরফ থেকে বিদ্যাসাগর স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন গৌতম ভদ্র (গদ্যসাহিত্য), হর্ষ দত্ত পাচ্ছেন কথা সাহিত্যের জন্য বঙ্কিম স্মৃতি পুরস্কার, বিজয় দে কাব্য সাহিত্যের জন্য মাইকেল মধুসুদন স্মৃতি, প্রচেত গুপ্তও কথা সাহিত্যের জন্য মনোনীত হয়েছেন বিভূতিভূষণ স্মৃতি পুরস্কারে। পশ্চিমবঙ্গ নৃত্য আকাডেমির থেকে খগেন্দ্রনাখ বর্মণকে দেওয়া হচ্ছে উদয়শংকর স্মৃতি পুরস্কার।
পশ্চিমবঙ্গ কাজী নজরুল ইসলাম আকাডেমি থেকে অলক রায়চৌধুরী পাচ্ছেন নজরুল স্মৃতি পুরস্কার। সংগীত আকাডেমি থেকে শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়কে দেওয়া হচ্ছে ভক্তিগীতি বিভাগে পান্নালাল ভট্টাচার্য পুরস্কার। পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় পাচ্ছেন জ্ঞান প্রকাশ ঘোষ পুরস্কার।
নাট্য আকাডেমি থেকে দেবশংকর হালদার (দীনবন্ধু পুরস্কার) গৌতম হালদার(গিরিশ পুরস্কার) এবং সুজন মুখোপাধ্যায় শম্ভু মিত্র পুরস্কারে সম্মানীত হচ্ছেন। মীনা রায় পাচ্ছেন বীণাদাসগুপ্ত স্মৃতি পুরস্কার যাত্রা বিভাগ থেকে। এছাড়া আদিবাসী সংস্কৃতি, শিশু সাহিত্য, চারুকলা বিভাগেও গুণীব্যক্তিদের পুরস্কৃত করা হবে। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ কবি কাজী নজরুল ইসলামকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হচ্ছে।