বিতর্ক কিছুতেই থামছে না যেন! বিবেক অগ্নিহোত্রীর চর্চিত এবং বিচর্তিক ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’কে এবার ‘গার্বেজ’ কিংবা ‘আবর্জনা’ বললেন চিত্রনাট্যকার-পরিচালক সাঈদ আখতার মির্জা। তারপর থেকেই ছবিকে ঘিরে নয়া আলোচনা শুরু হয়েছে ফের। এবার প্রশ্ন হল, তা হলে কি তিনি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর হওয়া অত্য়াচারকেও ‘আবর্জনা’ বললেন? একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাঈদ মির্জা বলেছেন, “আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ একটি গার্বেজ। কিন্তু কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সমস্যাও কি গার্বেজ? এক্কেবারেই নয়। এই সমস্যা এক্কেবারে সত্যি। কিন্তু কেবল কাশ্মীরি হিন্দুদের উপর অত্যাচার চলেনি। চলেছে কাশ্মীরের মুসলমানদের উপরও। আমার বক্তব্য, যে কোনও একটি পক্ষ নেওয়া কেন? মানুষ্য়ত্বের পরিচয় দেওয়া দরকার। সমস্যাকে বোঝা দরকার।”
১৯৯০ সালের জানুয়ারি মাসে কাশ্মীরের বুকে নেমে এসেছিল ভয়ানক হিংসা। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার সমস্ত পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাঁদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সেই সমস্ত চিত্রই তাঁর ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিতে বর্ণনা করেছেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। ২০২২ সালের ১১ মার্চ ভারতের প্রেক্ষাগৃহগুলিতে মুক্তি পায় ছবি। তার আগে মুক্তি পায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আমেরিকায় ছবির মুক্তির আগে হুমকি ফোন পেয়েছিলেন বিবেক। ভারতে ছবি মুক্তির আগে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সবটাই সকলকে জানিয়েছিলেন বিবেক। তারপর ছবি মুক্তি পায় এবং মুক্তির পরই ভয়ানক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অনেকে এই ছবিকে কেন্দ্রীয় শাসকদল বিজেপির প্রচারমূলক ছবি হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু কাশ্মীরি পণ্ডিতরা জানিয়েছিলেন, বিবেক যা-যা দেখিয়েছেন, তা একটিও মিথ্যা নয়।
ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, দর্শন কুমার, পল্লবী যোশীর মতো অভিনেতারা। এ বছর গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’কে ঘিরে বিচর্তক সৃষ্টি হয়। এবার মুখ খুললেন সাঈদ আখতার মির্জা।
একাধিক হিন্দি ছবি পরিচালনা করেছেন সাঈদ। যেমন ‘মোহন যোশী হাজির হো’, ‘অ্যালবার্ট পিন্টো কো গুস্সা কিউ আতা হ্যায়’, ‘সালিম লাংদে পে মত রো’, ‘নসিম’।