সম্প্রতি ছাতা, অর্থাৎ ‘আমব্রেলা’র ইংরেজি বানান ও উচ্চারণ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আর যে কোনও ট্রেন্ডে গা ভাসানোর জন্য সর্বপ্রথম কে এগিয়ে আসেন? স্যান্ডি সাহা। ইউটিউবার ও ভাইরাল কনটেন্ট ক্রিয়েটার স্যান্ডি সাহা। নিজের শরীর তিনি মুড়ে ফেলেছেন ছাতায়। রংবেরঙের ছাতায়। আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এই ভাবেই। ছবি পোস্ট করার পর ফের ভাইরাল হয়েছেন স্যান্ডি। লিখেছেন, “#Amrela বানান শোনার পর আমি…” নিজের পোস্টের মন্তব্য বাক্সে নিজস্ব কায়দায় স্যান্ডি লিখেছেন, “আমিও আন্দোলনে নামলাম, ডিডি-কে পাশ করান ইংরেজিতে, নইলে Amrela ছুড়ে মারব কিন্তু…”
প্রতিবারের মতো এবারও ভাল-মন্দ মন্তব্যে ভরে উঠেছে স্যান্ডির কমেন্ট বক্স। ছবিগুলি দেখে নেটিজ়েনদের একজন লিখেছেন, “…তুমি তো সিন্ডারেলা হয়ে গেছ…”। অন্য একজন লিখেছেন, “…জোকারের মত লাগছে… তবে তুমি বাস্তববাদী… আমার প্রিয় তুমি”।
কিছুদিন আগেই স্যান্ডি নিজের লেখাপড়ার কথা TV9 বাংলাকে জানিয়েছিলেন। যতই ভাইরাল কনটেন্ট তৈরি করুন না কেন, স্যান্ডির লেখাপড়া নিয়ে কিন্তু কোনও প্রশ্ন ওঠার কথা নয়। এক কথায় তিনি মেধাবী। সেটা ভুলে গেলে চলবে না। স্যান্ডি তাক লাগানো নম্বর পেয়েছিলেন মাধ্যমিক- উচ্চমাধ্যমিকে। মাধ্যমিকে তিনি পেয়েছিলেন ৭৮.৫% নম্বর। উচ্চমাধ্যমিকে পেয়েছিলেন ৬০%। তিনিও সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। স্নাতকও সায়েন্সেই। ফিজ়িওলজ়িতে বিএসসি (B.Sc) করেছিলেন। স্নাতকোত্তর ইভিএস-এ (এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স)।
TV9 বাংলাকে স্যান্ডি বলেছেন, “কলেজে পড়তে পড়তে ইউটিউব করছিলাম। তখন থেকেই লোকে আমাকে চিনে গিয়েছিল। এখনকার ছেলেমেয়েরা ৮-৯ ক্লাসে পড়তে-পড়তেই ভাবে ইউটিউবার হবে। তবে আমি বলব, বেসিক এডুকেশন (প্রাথমিক শিক্ষা) খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি যখন শুরু করেছিলাম ফেসবুক কিন্তু টাকা দিত না। ফলে আমি কোনওদিনও ভাবিনি এটাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেব। আমার ভাল লাগার জায়গা থেকে কাজটা করতাম। আস্তে-আস্তে আমি ইউটিউবে কাজ করতে শুরু করি। এমএসসি তখনই শেষ করি। তখন লকডাউন চলছিল। সবাইকে একটাই কথা বলব, যাই করো না কেন, প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করতেই হবে। ওটা কিন্তু খুবই দরকারি বিষয়।”