লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, গানের জগতে এক স্বর্ণযুগ এঁনাদের হাতেই তৈরি। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে একটি ইরা সম্পূর্ণটাই এনাদের কাঁধে ভর করে দাঁড়িয়ে। একের পর এক অনবদ্য গানের সৃষ্টি হয়েছে যাঁদের কণ্ঠস্বরে। সেই কিংবদন্তী গায়িকা আশা ভোঁসলের আজ জন্মদিন। এই গায়িকা সম্পর্কে ঠিক যতটা বলা যায় ততটাই কম। আবার তাঁদের সম্পর্কে অজানা কিছুই নেই। বরাবরই আশা ভোঁসলে ভীষণ খোলামেলা কথা বলতে পছন্দ করতেন। সে কেরিয়ার হোক বা ব্যক্তিগত জীবন। প্রতিটা ক্ষেত্রেই থাকত এক এক গল্প-কাহিনি। যা প্রতিটা মানুষের মুখে মুখে ফেরে। আশা ভোঁসলের সফরে তেমনই একটি গল্পের নাম আর.ডি. বর্মন। সুরের সফরে হেঁটে যাঁরা একে অপরকে মন দিয়েছিলেন।
গায়িকা আশা ভোঁসলে একবার তাঁর সঙ্গীতশিল্পী স্বামী আর. ডি. বর্মনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কীভাবে শুরু হয়েছিল সে সম্পর্কে কথা বলেছিলেন।১৯৯৩ সালে একটি সাক্ষাত্কারে, আশা ভোঁসলে জানিয়েছিলেন যে, আর ডি বর্মন তাঁর পিছনেই পড়ে ছিলেন। বারে বারে তাঁর প্রশংসা করতেন এবং প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। একটা সময় আশা ভোঁসলে বাধ্য হয়ে প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়ন বলেই জানান। আর ডি বর্মনের প্রথম বিয়ে ১৯৬৬ সালে, রিতা প্যাটেলের সঙ্গে হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭১ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তারপর ১৯৮০ সালে তিনি আশার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। কয়েক বছর পরে তাঁরাও আলাদা হয়ে যান। তবে আর ডি বর্মণ এবং আশা একসঙ্গে অনেক গান রেকর্ড করেছিলেন, যা হিট। তাঁরা লাইভ শোতেও পারফর্ম করেছেন।
আশা তাঁদের সম্পর্ক কীভাবে শুরু হয়েছিল সে সম্পর্কে একটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন, “ইয়ে মেরে পিছে পড়ে থে, আশা তুমহারা সুর বহুত আছা হ্যায়, মে তুমহারি আওয়াজ পার ফিদা হুন। কেয়া করতি? হ্যাঁ, কার দিয়া (আশা তোমার খুব ভাল সুর, তোমার কণ্ঠে আমি মুগ্ধ। অবশেষে আমি কি করতে পারি? আমি বললাম ঠিক আছে)।”
তাঁর বোন লতা মঙ্গেশকরের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন- তখনও পর্যন্ত, তিনি কিছু বলেননি। এই ব্যাপারে, না আমার কাছে না পঞ্চমের কাছে, কারুর সঙ্গে গিয়েই কথা বলেননি।
আশা ভোঁসলে তাঁর আট দশকের ক্যারিয়ারে বিভিন্ন ভাষায় অনেক গান গেয়েছেন। এছাড়াও তিনি দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, , আঠারোটি মহারাষ্ট্র রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার, একটি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড সহ নয়টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং দুটি গ্র্যামি মনোনয়ন জিতেছেন।