এবার আরও একটি বিচিত্র কাজ করলেন বাঙালি ইউটিউবার স্যান্ডি সাহা। মহিলাদের ম্যাক্সি পরে একাধিক ভিডিয়ো তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই পোস্ট করেন স্যান্ডি। তাঁর ম্যাক্সি-প্রীতি নিয়ে সকলেই কমবেশি জানেন। এবার একটি রানি রঙের ম্যাক্সি পরে হোটেলের শাওয়ারের তলায় স্নান করতে-করতে লাইভ করলেন স্যান্ডি। আকাশে তখন মেঘ। সেই মেঘলা পরিবেশে কিছু বন্ধুকে নিয়ে একটি হোটেলে ছিলেন এই ইউটিউবার। লাইভ করা শুরু করেন একটি বাংলা গান শুনতে-শুনতে। গানটি ব্যাপারে ভিডিয়োর কমেন্ট বক্সে লিখেছেন স্যান্ডি। গানটির লিঙ্কও শেয়ার করেছেন তিনি। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত গানটি শুনে এক্কেবারে ভেসে গিয়েছেন স্যান্ডি। চাইছিলেন বৃষ্টিতে ভিজতে। একবার ম্যাক্সি পরে হোটেলের ঘরের বাইরে বেরিয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু বাইরে লোকজন ছিল বলে তিনি ফের হোটেল ঘরে ফিরে আসেন। সটান চলে যান বাথরুমে। স্নানঘরের মেঝেতে শুয়ে পরেন স্যান্ডি। শাওয়ার চালিয়ে ভিজতে শুরু করেন। সাবান মাখতে থাকেন। বন্ধুদেরকেও ভেজান।
সম্প্রতি ‘আমব্রেলা’র ইংরেজি বানান ও উচ্চারণ নিয়ে বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন স্যান্ডি। নিজের শরীর মুড়ে ফেলেছিলেন ছাতায়। রংবেরঙের ছাতায়। আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এই ভাবেই। লিখেছিলেন, “#Amrela বানান শোনার পর আমি…” নিজের পোস্টের মন্তব্য বাক্সে নিজস্ব কায়দায় স্যান্ডি লিখেছেন, “আমিও আন্দোলনে নামলাম, ডিডি-কে পাশ করান ইংরেজিতে, নইলে Amrela ছুড়ে মারব কিন্তু…”
কিছুদিন আগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে স্যান্ডির প্রাপ্ত নম্বর প্রথম প্রকাশিত হয় TV9 বাংলায়। ভাইরাল এই ইউটিউবার যে ধরনেরই কনটেন্ট তৈরি করে থাকুন না কেন, তিনি মেধাবী। এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। তাক লাগানো নম্বর পেয়েছিলেন মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে। মাধ্যমিকে তিনি পেয়েছিলেন ৭৮.৫% নম্বর। উচ্চমাধ্যমিকে পেয়েছিলেন ৬০%। তিনিও সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। স্নাতকও সায়েন্সেই। ফিজ়িওলজ়িতে বিএসসি (B.Sc) করেছিলেন। স্নাতকোত্তর ইভিএস-এ (এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স)।
TV9 বাংলাকে স্যান্ডি বলেছেন, “কলেজে পড়তে-পড়তে ইউটিউব করছিলাম। তখন থেকেই লোকে আমাকে চিনে গিয়েছিল। এখনকার ছেলেমেয়েরা ৮-৯ ক্লাসে পড়তে-পড়তেই ভাবে ইউটিউবার হবে। তবে আমি বলব, বেসিক এডুকেশন (প্রাথমিক শিক্ষা) খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি যখন শুরু করেছিলাম ফেসবুক কিন্তু টাকা দিত না। ফলে আমি কোনওদিনও ভাবিনি এটাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেব। আমার ভাল লাগার জায়গা থেকে কাজটা করতাম। আস্তে-আস্তে আমি ইউটিউবে কাজ করতে শুরু করি। এমএসসি তখনই শেষ করি। তখন লকডাউন চলছিল। সবাইকে একটাই কথা বলব, যাই করো না কেন, প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করতেই হবে। ওটা কিন্তু খুবই দরকারি বিষয়।”