মঙ্গলবার রাতের ঘটনা। বনগাঁর চাঁদপাড়া অঞ্চলে উদ্ধার হয় ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ খ্যাত এক নাবালিকার মৃতদেহ। এই ঘটনায় মৃতার পরিবারের তরফে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করে গাইঘাটা থানায়। অভিযোগ পেয়ে দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতদের নাম সুমন্ত বিশ্বাস ও রকি দাস । ধৃত দুজনকে আজ পাঁচ দিনের পুলিশ হেপাজত চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে গাইঘাটা থানা।
উল্লেখ্য,পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল বনগাঁ সাতভাই কালিতলা পুজো দিয়ে বিকালে বান্ধবীদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। রাতে মায়ের সঙ্গে একটি কালীপূজা বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। তার মাকে সে বলেছিল তুমি পুজোর বাড়িতে যাও আমি দশ মিনিট পরে যাচ্ছি। পরিবারের অভিযোগ, তার কিছুক্ষণ পরে মৃতার বাবার কাছে একটি ফোন আসে। তার এক বন্ধু ফোন করে জানায় সে আত্মহত্যার চেষ্টা করছে। তড়িঘড়ি তার বাবা বাড়ি ফিরে দেখেন মেয়ে নিজের ঘরে ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে রয়েছে। খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে বনগাঁ হাসপাতাল নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করে।
২০১৬ সালে ডান্স বাংলা ডান্স রিয়্যালিটি শো-এর অংশ নিয়েছিল সে। গ্র্যান্ড ফাইনালেও দেখা গিয়েছিল তার পারফরম্যান্স। সেই দৌলতেই বিভিন্ন জায়গায় শো করার জন্য তার ডাকও পড়ত। এলাকায় বেশ নামডাক হয়েছিল তার। এত কিছুর পর কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল ১৭ বছরের এই নাবালিকা?উঠছে প্রশ্ন। বাবা অমল দাস এবং মা মৃদুলা দাসের দাবি, বুলটন, বিট্টু , সুমন্ত-সহ বেশ কয়েক জন তার উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছিল। তাদের সঙ্গে মিশতে জোর করা হত। নানা ভাবে নাবালিকাকে ভয়ও দেখানো হত। এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয়রা ও মৃতার পরিবার।