শুভশ্রীর প্রোডাকশনে ফ্রিতে কেন কাজ করতে যাব! নায়িকাকে পাশে বসিয়ে সটান বলে দিলেন দেব
দুজনেই টলিউডের তুমুল ব্যস্ত অভিনেতা। প্রযোজনাতেও দুজনের ছাপ রয়েছে উজ্জ্বল। তবে যেটা বদলায়নি, তা হল দেব-শুভশ্রীর ম্যাজিক। আর সেই ম্যাজিকেরই দেখা মিলল ধূমকেতু ছবির ট্রেলার লঞ্চের বিগ ইভেন্টে।

একজন টলিউডের মেগাস্টার। আরেকজন টলিপাড়ার লেডিসুপারস্টার। দেব ও শুভশ্রী। কিন্তু ২০১৫ সালে বিষয়টা এমন ছিল না। তাঁরা স্টার অবশ্য়ই ছিলেন। তাঁদের জুটি সুপারহিটও ছিল। কিন্তু এখন ভক্তরা যে দেব-শুভশ্রীকে দেখছেন, তা অনেক পরিণত সব দিক থেকেই। দুজনের জীবন নিজের মতো করে সাজানো। দুজনেই টলিউডের তুমুল ব্যস্ত অভিনেতা। প্রযোজনাতেও দুজনের ছাপ রয়েছে উজ্জ্বল। তবে যেটা বদলায়নি, তা হল দেব-শুভশ্রীর ম্যাজিক। তা ধূমকেতুর সময় যেমন ছিল। আজও তেমন। সেই ম্যাজিকেরই দেখা মিলল ধূমকেতু ছবির ট্রেলার লঞ্চের বিগ ইভেন্টে। যেখানে আইবে কবে পালারের ছন্দে নেচে উঠলেন মেগাস্টার ও লেডিসুপারস্টার। আর ঠিক সেই সময়ই শুভশ্রী ও দেবের কাছে উড়ে এল প্রশ্নের গুগলি! আর প্রশ্নটা করলেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। কী ছিল সেই প্রশ্ন? কৌশিক বলে উঠলেন, কবে একে অপরকে দেখা যাবে, একে অপরের প্রোডাকশন হাউজে ছবি করতে?
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে একমিনিটও সময় খরচ করলেন না দেব। নায়িকার পাশের সোফাতে বসেই, সটান বললেন, ”আমি তো করেই দিয়েছি। এবার ওর পালা!” দেবের মুখের কথা শেষ করার আগেই শুভশ্রীর ঝটপট উত্তর, ”দেব এখন মেগাস্টার। দেবকে অ্যাফোর্ড করার মতো আমার ক্ষমতা নেই।”
টুক করে নজরুল মঞ্চের দর্শক আসন থেকে দেব-শুভশ্রীর এক ভক্ত বলে উঠলেন, ”দেবদা বিনা পয়সায় করে দেবে!” ভক্তের কথার তাল কাটলেন দেব। শুভশ্রীর পাশে বসেই স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ”শুভশ্রীর প্রোডাকশনে ফ্রিতে কেন কাজ করতে যাব! বিনামূল্যে একেবারেই নয়। আমি ঠিক বুঝে নেব।” তারপর শুভশ্রীর দিকে তাকিয়ে মিষ্টিভাবে দেব বললেন, ”শুধু ছবিটা নিয়ে ভাবো!” দেব-শুভশ্রীর এমন বার্তালাপে নতুন করে ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’- স্ফুলিঙ্গ টের পেল ভক্তরা। ‘ধূমকেতু’র হাত ধরে দেব-শুভশ্রীর রিইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে যে নতুন এক গল্প তৈরি হল, তার ইঙ্গিত পেল টলিপাড়াও।
