শেষ রক্ষা হল না। ভেঙে গেল ঐশ্বর্যের ২০ বছরের দীর্ঘ সংসার। ২০২২ সালে সমাজমাধ্যমে নিজেদের বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত কন্যা ঐশ্বর্য রজনীকান্ত এবং আরেক সুপারস্টার ধনুশ। সেই সময় থেকেই আলাদা থাকেন দম্পতি। তবে এতদিন আইনি পথে বিচ্ছেদটা করে হয়ে ওঠা হয়নি।
চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল আদালতে গিয়ে দুজনেই বিবাহবিচ্ছেদে সম্মতির কথা জানান। সেই মতো গত সপ্তাহে চেন্নাইয়ে পারিবারিক আদালতে গিয়ে হাজিরাও দিয়ে আসেন দুজনেই। গুঞ্জন ছিল, আদালতে ডিভোর্স ফাইল করলেও নিজেদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারেন তাঁরা। কন্যার সংসার ভেঙে যাক চাননি রজনীকান্তও।
গত সপ্তাহে আদালতে হাজিরা দেওয়ার আগেও তিনবার ডিভোর্স মামলার শুনানি এড়িয়ে গিয়েছিলেন ধনুশ এবং ঐশ্বর্য। তার পরেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল বেঁচে যেতে পারে তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্ক। তবে সেই সব জল্পনাকে মিথ্যা করে গত বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ের পারিবারিক আদালতে গিয়ে হাজিরা দেন তাঁরা। এর পরেই এক সপ্তাহ পরে বুধবার ডিভোর্স সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছেন ধনুশ-ঐশ্বর্য।
দুই পুত্র সন্তানের বাবা-মা ধনুশ ও ঐশ্বর্য ২০০৪ সালে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৬ সালে তাঁদের প্রথম সন্তান যাত্রা’র জন্ম হয়। ছোট ছেলে লিঙ্গার হয় ২০১০ সালে। গত দু’দশক ধরে দক্ষিণী সিনেমার অন্যতম লিডিং হিরো ধনুশ। অন্যদিকে রজনীকান্তের কন্যা হওয়ার পাশাপাশি একাধিক হিট সিনেমার পরিচালনার কাজ সামলেছেন ঐশ্বর্য। বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করলেও ছেলেদের স্কুলের অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁদের। ২০২২ সালে যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছিলেন, বন্ধু হিসেবে, জুটি হিসেবে, বাবা-মা হিসেবে ১৮ বছরের এই পথ চলা। সফরটা ছিল মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার, ‘একে অপরকে বুঝে ওঠার, মানিয়ে চলার। আজ আমরা এমন এক সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছি, যেখানে আমরা বুঝতে পারছি এবার আমাদের পথ আলাদা হওয়াটাই ভালো।’