২০-২১ ঘণ্টা শুটিং করে ইঞ্জিনিয়রিং পাশ; চাকরির অফার এলে হাতজোড় করে কী বলবেন দেবচন্দ্রিমা

Debchandrima Sinha Roy: মেধাবী ছাত্রী। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় বিজ্ঞান ছিল বিষয়। সেই মেয়েটাই পরবর্তীতে ইঞ্জিনিয়রিং পাশ করেন মেঘনাদ সাহা কলেজ থেকে। ২০-২১ ঘণ্টা শুটিং করে পাশ করেন ইঞ্জিনিয়রিং। কিন্তু চাকরি? কোনওদিন কি অভিনয় ছেড়ে আইটি সেক্টরে চাকরি করবেন অভিনেত্রী?

২০-২১ ঘণ্টা শুটিং করে ইঞ্জিনিয়রিং পাশ; চাকরির অফার এলে হাতজোড় করে কী বলবেন দেবচন্দ্রিমা
দেবচন্দ্রিমা সিনহা রায়।
Follow Us:
| Updated on: Feb 21, 2024 | 11:03 AM

ইঞ্জিনিয়রিং পড়তে-পড়তে বাংলা সিরিয়ালে অভিনয়ের সুযোগ ঘটেছিল অভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা সিনহা রায়ের। তাঁকে শেষবার দেখা যায় ‘সাহেবের চিঠি’ ধারাবাহিকে চিঠির চরিত্রে। চিরকালই নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেবচন্দ্রিমা। কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে তাঁর ওয়েব ছবি ‘প্রেমে পড়া বারণ’। সারাদিন কফি খেয়ে বিনিদ্র শুটিং করেছেন দেবচন্দ্রিমা। তিনি মেধাবী। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। সুযোগ পেয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়রিংয়ে। সিরিয়ালে অভিনয় করতে-করতে কি সেই পড়াশোনা শেষ করেছিলেন দেবচন্দ্রিমা। নিজেই জানিয়েছেন এক সাক্ষাৎকারে।

দেবচন্দ্রিমা জানিয়েছেন, তিনি মেঘনাদ সাহা কলেজে ইঞ্জিনিয়রিং পড়তেন। কলেজের পিছনেই ছিল তাঁর শুটিংয়ের ফ্লোর। ভেবেছিলেন, শুটিং করতে-করতে ইঞ্জিনিয়রিং পাশ করে যাবেন ভাল নম্বর পেয়ে। কিন্তু গুড়ে বালি। দেবচন্দ্রিমা বলেছেন, “আমার কোনও ধারণাই ছিল না শুটিং ফ্লোরে ২০-২১ ঘণ্টা সময় দিতে হয়। আমার শুটিং ফ্লোরের পিছনেই ছিল মেঘনাদ সাহা কলেজ। সেখানে আমি ইঞ্জিনিয়রিং পড়তাম। ভেবেছিলাম, ম্যানেজ করে নেব। কিন্তু ২০-২১ ঘণ্টা শুটিং করে আমার শরীর আর দিচ্ছিল না। কোনও মতে পাশ করেছিলাম ইঞ্জিনিয়রিং। সেটাকে আমার মতে ভাল নম্বর পেয়ে পাস করা বলে না। আজকে যদি আমাকে বলা হয় চাকরি করতে, আমি হাতজোড় করে বলব, ‘না না, পারব না। যেটা করছি সেটাই করব। তাতেই আমি ভাল আছি।”

মা চাইতেন, দেবচন্দ্রিমা লেখাপড়া শেষ করুক। মায়ের ইচ্ছাপূরণ করেছেন দেবচন্দ্রিমা। যদিও বা তিনি দু’নৌকায় পা দিয়ে চলার মানুষ নন, তবুও অনেক কষ্টেই ইঞ্জিনিয়রিং শেষ করেছিলেন তিনি। তবে মাকে শুরু থেকেই বলে দিয়েছিলেন যে, চাকরি করবেন না কোনওদিনই। অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেবেন। আজও তিনি সেই সিদ্ধান্তই তিনি অনড়।