২০ টাকার বিনিময়ে হেমাকে ‘হাগ’, কাকে ঘুষ দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র?
বহু নায়িকাও গোপনে মন দিয়েছেন তাঁকে। নানা জল্পনাতেও নাম জড়িয়েছে তাঁর। তবে তিনি মন দিয়েছিলেন সিনেপাড়ার ড্রিমগার্লকে। তাঁদের ভালবাসার কাহিনি আজও সিনেমাপ্রেমীদের মনে অমলিন, বিশেষ করে যখন কথা ওঠে ১৯৭৫ সালের কালজয়ী ছবি ‘শোলে’।

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, যিনি ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় সিনেমায় দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করছেন। জীবনের একাধিক অধ্যায়ে তৈরি হয়েছে বহু গল্প। কত শত নারীর মনের স্বপ্নের নায়ক তিনি। বহু নায়িকাও গোপনে মন দিয়েছেন তাঁকে। নানা জল্পনাতেও নাম জড়িয়েছে তাঁর। তবে তিনি মন দিয়েছিলেন সিনেপাড়ার ড্রিমগার্লকে। তাঁদের ভালবাসার কাহিনি আজও সিনেমাপ্রেমীদের মনে অমলিন, বিশেষ করে যখন কথা ওঠে ১৯৭৫ সালের কালজয়ী ছবি ‘শোলে’।
সেই ‘শোলে’র শুটিংয়েই নাকি ঘটেছিল এক মজার ঘটনা। শোনা যায়, ছবির এক বিখ্যাত দৃশ্য — যেখানে ‘ভীরু’ (ধর্মেন্দ্র) ‘বাসন্তী’কে (হেমা মালিনী) রিভলভার চালানো শেখাচ্ছেন — সেখানে অভিনেতা বারবার হেমাকে আলিঙ্গন করার সুযোগ খুঁজতেন। গোপনে তিনি সেটের স্পটবয়দের ২০ টাকা করে ঘুষ দিতেন, তাঁরা “ভুলবশত” শুটের অংশটা নষ্ট করে দেয়— ফলে পুনরায় টেক নিতে হয়, আর তাতে হেমাকে আরও একবার জড়িয়ে ধরার সুযোগ পাবেন তিনি!
ইউনিটের সদস্যরাও অভিনেতার এসব কাণ্ডে মজা পেতেন এবং খুশি মনেই তাঁর ইঙ্গিত বুঝে নিতেন— কখনও রিফ্লেক্টর ফেলে দেওয়া, কখনও ক্যামেরা টলিয়ে দেওয়া— নানা অজুহাতে শট বাতিল করে দিতেন তাঁরাও। শোনা যায়, ধর্মেন্দ্র নাকি প্রায় ২,০০০ টাকা খরচ করেছিলেন এই “রোম্যান্টিক মিশন”-এ!
সেই থেকে শুরু, তারপর ঘর বাঁধা, সংসার করা, সবটাই স্বপ্নের মতো। একটা সময় বিয়ের সিদ্দান্ত নিয়ে উঠেছিল অনেক প্রশ্ন, তবে থেমে যাননি হেমা। ধর্মেন্দ্রর তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী ঠিকই, তবে একটা সময় তিনি বলেছিলেন, কারও সংসার ভাঙা তাঁর উদ্দেশ্য নয়।
