কোন চরিত্র করতে মোটেও রাজি হননি সলমন-মাধুরী?
সলমন খান মাত্র ৫০০০ টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এই ছবি করেছিলেন। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে সিনে দুনিয়ায় চাহিদা বাড়ে সলমন খানের। একটা সময় সলমন নিজেই জানিয়েছিলেন তাঁর বাবা সেলিমকে, তিনি অভিনয় ছেড়ে দিতে চান।

সলমন খানের জীবনে প্রথম বড় ব্রেক হয়ে দাঁড়ায় ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবি। এর আগে যখন তিনি ‘ম্যানে পেয়ার কিয়া’ করেছিলেন তখন কেরিয়ারে এক বড় বিরতি চলে আসে। সেই ছবি করার পর তাঁকে সেভাবে কেউ বলিউডে ব্রেক দিতে চাননি, যদিও সেই ছবি যথেষ্ট দর্শক মনে জায়গা করে নেয়। এরপর ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবি করার পর তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
তবে এই ছবি নিয়ে প্রথম বেজায় আপত্তি করেছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। কারণ তাঁকে প্রথমে তাব্বুর চরিত্র করতে বলা হয়েছিল। তবে এই চরিত্রে সলমন খানকে পায়ে হাত দিয়ে মাধুরীকে প্রমাণ করতে হতো। তা মোটেও চাননি তাঁরা সেই কারণেই রাতারাতি পাল্টে গিয়েছিল ছবির কাস্ট। আর পরে এই ছবিই হয়ে যায় সুপারহিট। আর সলমন খান তখন বলিউডে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করেন। একের পর এক ছবির প্রস্তাব পেতে শুরু করেছিলেন। তবে তখন সলমনের কেরিয়ার সবে শুরু। তিনি সেভাবে পসার জমিয়ে উঠতে পারেননি, ততদিনে মাধুরী বলিউডে বেশ পরিচিত।
তখন সলমন খান মাত্র ৫০০০ টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এই ছবি করেছিলেন। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে সিনে দুনিয়ায় চাহিদা বাড়ে সলমন খানের। একটা সময় সলমন নিজেই জানিয়েছিলেন তাঁর বাবা সেলিমকে, তিনি অভিনয় ছেড়ে দিতে চান। তবে যে সেলিম খান এত অভিনেতা তৈরি করেছিলেন, তাঁর সন্তানের এই পরিণতি তিনি মোটে মেনে নিতে পারেননি। তাই সেদিন থেকে শুরু হয় তাঁর লড়াই। রমেশ সিপ্পিকে অনুরোধ করেছিলেন একটা মিথ্যে রটিয়ে দিতে, যে তিনি সলমনের সঙ্গে কাজ করতে চলেছেন। আর তাতেই ফেরে ভাইজানের ভাগ্য।
