Tv9 বাংলা ডিজিটাল: ‘জাল্লিকাট্টু’। মালয়ালম ছবি। ফিল্মমেকার লিজো জোসে পেল্লিসেরি। ফিল্ম ফেডারেশনের ১৪ জন কমিটির সদস্য মিলে সাতাশটি ছবির মধ্যে সেরা Oscar 2021-এর জন্য সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম হিসেবে নির্বাচিত করলেন ‘জাল্লিকাট্টু’কে।
কেন ছবি নিয়ে এত উন্মাদনা পরিচালকমহলে? ফিল্মমেকারদের বক্তব্যে প্রকাশ পেল কারণ।
দারুণ সিদ্ধান্ত। ভারতীয় ছবি যে শুধুমাত্র বলিউডি ছবি নয়, তা আবার প্রমাণিত হল। এ স্বীকৃতি যথাযভাবে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও কেন্দ্রবিন্দুতে এল ভারতীয় ছবি।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়
মানুষ, পশুর থেকেও হিংস্র। এটাই আমাদের সমাজের বাস্তব সত্যি। আমাদের হিংস্রতা দিয়ে নিজেদের নয় সারা বিশ্ব ধ্বংস করে ফেলছি। এবং এ গল্পই সুন্দরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে ছবিতে। মিউজিক, সিনেম্যাটোগ্রাফি, অভিনয় সব দিক থেকে ‘জাল্লিকাট্টু’ আমার কাছে সেরা। ‘প্যারাসইট’ শহরজীবনের সামাজিক পচনকে ধরিয়ে দেয়। আর ‘জাল্লিকাট্টু’ গ্রাম্য পরিবেশের ছবি। গাছ-গাছলা, পশু, প্রকৃতির সারল্যকে ভেদ করে যে সামাজিক পচন হচ্ছে, তা ধরিয়ে দিয়েছে ‘জাল্লিকাট্টু’ ।
অরিন্দম শীল
প্রথমেই ‘জাল্লিকাট্টু’ র মতো আঞ্চলিক ছবিকে নির্বাচন করার জন্য জুরির সদস্যদের স্বাগত জানাই । দারুণ এক বিষয় নিয়ে দুর্দান্ত ছবি। শুধু বিষয় কেন বলছি, কাস্টিং, এডিটিং, মিউজিক, পারফর্ম্যান্স, সব দিক দিয়ে ‘জাল্লিকাট্টু’ এগিয়ে। এরকম কনটেন্ট নিয়ে খুব কম ছবি হয়। একটা কথা বলি, একজন পরিচালক কাছে নির্দিষ্ট প্রথা ভেঙে ছবি তৈরি করার যে আনন্দ তা একমাত্র উনিই উপলবদ্ধি করতে পারেন।
ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়
আন্তর্জাতিক মঞ্চে আবার এক আঞ্চলিক ছবি উঠে এল। অস্কারে ভারতীয় ছবির প্রবেশিকার যে তালিকা থাকে তাতে একটি আঞ্চলিক ছবিকে নথিভুক্ত হতে প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা দিতে হয়। একজন প্রযোজকের কাছে জন্য অত পরিমাণ অর্থ থাকেনা। তা-ই রাজ্যের সরকার যদি প্রযোজকদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে ‘জাল্লিকাট্টু’ র মতো আরও ছবি উঠে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়