কলকাতায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, ওদিকে মাঝগঙ্গায় ভয়ানক অবস্থা দিতিপ্রিয়ার
Ditipriya Roy: প্রথম বৃষ্টির আনন্দ মোটেও সুখকর নয় তাঁর কাছে। টিভিনাইন বাংলাকে বললেন,"ওরে বাবা, আমি তো এখন দুর্ভাগ্যবশত ফ্লোটেলে, সামনে ভয়ানক ছবি দেখছি। পুরো ডেকটা নড়ছে। গঙ্গেবক্ষে বসে এই সময় এক অদ্ভূত অনুভূতি। পরিবারকে নিয়ে এসেছি। ভয় লাগছে। অদ্ভুত লাগছে চারিপাশ। আমি আসলে ভীষণ ভীষণ ভিতু।"
‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে/ ধান দেব মেপে’— তাপপ্রবাহে জেরবার শহরবাসীর আজ রাতে ঘুমোবেন শান্তিতে। লোডশেডিংয়ের লাগাতার উৎপাত আর মশার কামড়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই ছোট্ট সোনার মা’কে জড়িয়ে করবে আরাম। সপ্তাহের প্রথম দিনেই দহন জ্বালায় ভালবাসার প্রথম প্রলেপ। আলিপুর আবহাওয়ার দফতরের পূর্বাভাসকে সত্যি প্রমাণ করে সে এল। শহর থেকে জেলা ফেলল স্বস্তির নিঃশ্বাস। শহরবাসী যখন আজ ভিজছে আনন্দে তখন অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায় কিন্তু মাঝগঙ্গায় পড়েছেন বেশ অসুবিধেয়।
প্রথম বৃষ্টির আনন্দ মোটেও সুখকর নয় তাঁর কাছে। টিভিনাইন বাংলাকে বললেন,”ওরে বাবা, আমি তো এখন দুর্ভাগ্যবশত ফ্লোটেলে, সামনে ভয়ানক ছবি দেখছি। পুরো ডেকটা নড়ছে। গঙ্গেবক্ষে বসে এই সময় এক অদ্ভূত অনুভূতি। পরিবারকে নিয়ে এসেছি। ভয় লাগছে। অদ্ভুত লাগছে চারিপাশ। আমি আসলে ভীষণ ভীষণ ভিতু।”
নিজে ভয় পেলেও কলকাতা যে স্বস্তিতে, এটা ভেবেই আনন্দে দিতিপ্রিয়া। মানুষের কষ্টটা তো অন্তত কমবে। সানস্ট্রোক, শরীর খারাপ থেকে মিলবে রেহাই। যোগ করলেন, “শুটিং করতে যা কষ্ট হচ্ছিল না….”। প্রেম আর বৃষ্টির এক অদ্ভুত সম্পর্ক রয়েছে। তিনি যে প্রেম করছেন, এ খবর তো আর অজানা নয়। বৃষ্টির দিনে মনে কি পড়ছে তাঁর সেই রহস্যময় প্রেমিককে। হাসতে হাসতে বলছিলেন, “আমার তো রোম্য়ান্সের মানুষ বাইরে। তাই পরিবারের সঙ্গেই উপভোগ করছি। অ্যাডভেঞ্চারস ব্যাপার। বৃষ্টি, বাজ, ঝড়, এই অবস্থায় নাকি আমি গঙ্গার সামনে! ভাবুন একবার…।”