ভারতবর্ষের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা সন্তান তৈমুর আলি খান। তার বয়স এখন মোটে ৬। কিন্তু এই বয়সেই বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই তারকা সন্তান। পতৌদি নবাব পরিবারের রাজপুত্র সে। বাবার নাম সইফ আলি খান এবং মা অভিনেত্রী করিনা কাপুর খান। বলিউড, কাপুর পরিবার এবং পাতৌদি নবাব পরিবারের সঙ্গে গভীর যোগ রয়েছে তৈমুরের। এছাড়াও, তৈমুরের রক্তে বইছে ঠাকুর বংশের রক্ত। জানেন ঠিক কেমন সম্পর্ক রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে স্টার কিড তৈমুরের।
কেবল তৈমুর নয়, সইফ আলি খান, সোহা আলি খান, সাবা আলি খান, সারা আলি খান, ইব্রাহিম আলি খান এবং সাবা আলি খানের শরীরেও বইছে ঠাকুর পরিবারের রক্ত। এর কারণ অভিনেত্রী এবং পাতৌদি পরিবারের বেগম শর্মিলা ঠাকুর। শর্মিলা ঠাকুর হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বংশের মেয়ে। তাই তাঁর ছেলেমেয়ে এবং তাঁর ছেলেমেয়েদের সন্তানেরাও ঠাকুর পরিবারের রক্ত বহন করছে শরীরে। কীভাবে ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শর্মিলা, তা গত বছর বাংলাদেশে গিয়ে বলেছিলেন তিনি। কী বলেছিলেন শর্মিলা জানেন?
অনেকেই মনে করেন, শর্মিলা ঠাকুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাতনি। বিষয়টা ঠিক তেমন নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বংশধর হওয়া সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথের সরাসরি নাতনি নন শর্মিলা। রবীন্দ্রনাথের নিকট আত্মীয় গুণীন্দ্রনাথ ঠাকুরদের বংশধর শর্মিলা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুররা একটা সময় ব্রাহ্ম ধর্ম অবলম্বন করেছিলেন। কিন্তু গুণীন্দ্রনাথেরা ছিলেন ব্রাহ্মণই। তাঁর ব্রাহ্ম হননি। জানিয়েছিলেন শর্মিলা নিজেই। তিনি ছিলেন ব্রাহ্মণ।
সেই ঠাকুর পরিবারের কন্যাকে বিয়ে করেছিলেন পতৌদি পরিবারের চিরাগ মনসুর আলি খান পতৌদি। সেটা ছিল ১৯৬৮। মনসুরকে শর্ত দিয়েছিলেন শর্মিলা। ক্রিকেট খেলায় হ্যাটট্রিক করলে তবেই শর্মিলাকে বিয়ে করতে পারবেন ভারতীয় ক্রিকেট দুনিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক মনসুর আলি খান পতৌদি (তাঁকে অনেকে টাইগার পাতৌদি নামেও চেনেন)।
ঠাকুর পরিবারের মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও মুসলমান পরিবারের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন শর্মিলা। বিয়ের পর পতৌদি পরিবারে এসে তাঁর নামও পাল্টে যায়। ইসলাম ধর্ম অবলম্বন করেছিলেন শর্মিলা। তাঁর নাম হয়েছিল আয়েশা বেগম।