নায়িকা যখন গায়িকা,জানেন কি সুচিত্রা সেন নিজের গানও রেকর্ড করেছিলেন!
অভিনেত্রী হিসাবে দর্শক মনে যেমন নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। তেমনই ছিল তাঁর গানের গলা। প্রচণ্ড ব্যস্ততার মাঝেও গানের রেকর্ড বের করেছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। সেই রেকর্ড অবশ্য একসময় মেগাফোন কোম্পানি বাজার থেকে তুলে নেয়।
অভিনেত্রী হিসাবে দর্শক মনে যেমন নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। তেমনই ছিল তাঁর গানের গলা। প্রচণ্ড ব্যস্ততার মাঝেও গানের রেকর্ড বের করেছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। সেই রেকর্ড অবশ্য একসময় মেগাফোন কোম্পানি বাজার থেকে তুলে নেয়। সুচিত্রা সেনের নিজের কণ্ঠে গাওয়া গান লিখেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার,সুর দিয়েছেন রবীন চট্টোপাধ্যায়। রেকর্ডটির নম্বর -জে এন জি ৬০৫০ ৷ দু’পিঠে দুটো গান ।প্রথম গান ছিল’আমার নতুন গানের নিমন্ত্রণে,আসবে কি?…” আর দ্বিতীয় গান ছিল—’বনে নয় আজ মনে হয়,যেন রঙের আগুন প্রাণে লেগেছে”।
১৯৪৬সালে মেগাফোন বন্ধ হয়ে যায়,৫৯সালে আবার নতুন করে মেগাফোন চালুর কথা ভাবা হচ্ছে,চারিদিকে সাড়া পড়ে যায় এমন কিছু দরকার,তখন কমল ঘোষের মাথায় এল সুচিত্রা সেন কে দিয়ে আধুনিক বাংলা গান গাওয়ানোর কথা৷ ইন্টারেস্টিং তথ্য হল কমলবাবুর কথায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মহানায়িকা,স্বামীর বন্ধু কমল ঘোষের কোম্পানির যদি উপকার হয় সেই ভাবনা থেকেই সুচিত্রা সেন রেকর্ড করতে রাজি হলেন৷ গান লেখার দায়িত্বে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার,সুর দেবেন রবীন চট্টোপাধ্যায়,গাইবেন বাংলা ছবির সর্বকালের মহানায়িকা সুচিত্রা সেন,সব মিলেমিশে একটা অন্য ব্যাপার হবে সেই নিয়ে নিশ্চিন্তে ছিলেন কমল ঘোষ৷ ১৯৫৯সাল সুচিত্রা সেন তখন খ্যাতির মধ্যগগনে, মুক্তি পেয়েছে ‘চাওয়া পাওয়া’আর ‘দ্বীপ জ্বেলে যাই’, দুটো ছবি সুপারহিট৷অভিনয়,সংসার সব নিয়ে মহানায়িকা তখন প্রচণ্ড ব্যস্ত৷ যথেষ্ট চাহিদা থাকা সত্বেও বাজার থেকে সুচিত্রা সেনের গাওয়া গানের রেকর্ড কোম্পানি তুলে নেয়। অনেকেই বলেন আদপে মহানায়িকার গান শ্রোতাদের ভাল লাগেনি! কোম্পানির বক্তব্য রেকর্ডের কারিগরি কিছু ত্রুটি বিচ্যুতির জন্য এই কাজটি করতে হয়েছিল! কোনটি সত্য কোনটা মিথ্যা বলা সমস্যার। তবে কোম্পানির যা দরকার সেই প্রচার তারা পেয়েছিল।