গো-মাংস রান্না বিতর্কের জের, বড় ক্ষতির মুখে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়?
Sudipa Chatterjee: এর আগে বিতর্ক নিয়ে টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুলেছিলেন সুদীপা। তিনি বলেন, "“ভাল থাকার চেষ্টা করছি। আমার ছেলেটাকে আজ এতদিন হল স্কুলে পাঠাতে পারিনি। দেখি কিছু দিন পর হয়তো পাঠাতে পারব। পুলিশ খুব সাহায্য করছে। ওরা জানিয়েছেন নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করবে।”

দিন কয়েক আগেই গো-মাংস রন্ধন বিতর্কে তোলপাড় হয়েছিল উপস্থাপক সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের জীবন। বাংলাদেশের এক রান্নার শো’য়ে উপস্থাপকের পাশে দাঁড়িয়ে গো-মাংস রান্না দেখার কারণে সমাজের অধিকাংশের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। ঘটনায় হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়েও লাভ হয়নি। এবার এই কারণেই কি বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে সুদীপাকে?
সমাজমাধ্যমে বরাবরই বেশ সক্রিয়ই ছিলেন সুদীপা। তাঁর প্রোফাইলে লাইভ ভিডিয়োতে কমেন্ট পড়ত হাজার হাজার। তার ভিউজও ছিল আকাশছোঁয়া। তবে গো মাংস বিতর্কের কারণ সামাজিক মাধ্যমে যে ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল তাতে সুদীপার প্রোফাইলের বিরুদ্ধে ফেসবুকে রিপোর্ট করার ডাকও ওঠে। অনেকে তাতে সাড়াও দেন। এর ফলে বেশ কিছু দিন ধরে সুদীপার প্রোফাইলের রিচ পড়ে গিয়েছল আশাতীত ভাবেই। যে সুদীপার একটি ভিডিয়োতে মিলিয়ন ভিউজও ঊঠত সেখানেই পাঁচ হাজার ভিউজ তুলতেও খেতে হচ্ছিল হিমশিম, সাক্ষী তাঁর ফেসবুকই। সেই অবস্থার খানিক উন্নতি হলেও, অ্যাংরি রি-অ্যাকশন কিন্তু পড়ছে এখনও। লাভ, লাইকের থেকে ওই রিঅ্যাকশন বেশি পড়ায় আখেরে ক্ষতি হচ্ছে সেই প্রোফাইলেরই। ফেসবুকের অ্যালিগরিদম বলছে, অ্যাংরি রি-অ্যাকশন বেশিমাত্রায় পড়লে রিচ ডাউন হয়ে যায়। সুদীপার ক্ষেত্রেও ঘটনার ব্যতিক্রম নয়। এমনকি বিতর্কের জেরে নিজের কমেন্ট সেকশনটিও ‘লিমিটেড অডিয়েন্স’-এর জন্য করে রাখতে কার্যত বাধ্য হয়েছেন সঞ্চালিকা। তবু বিতর্কের আগুন নেভার নয়।
এর আগে বিতর্ক নিয়ে টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুলেছিলেন সুদীপা। তিনি বলেন, ““ভাল থাকার চেষ্টা করছি। আমার ছেলেটাকে আজ এতদিন হল স্কুলে পাঠাতে পারিনি। দেখি কিছু দিন পর হয়তো পাঠাতে পারব। পুলিশ খুব সাহায্য করছে। ওরা জানিয়েছেন নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করবে।” ঘটনার প্রতিক্রিয়া যে এমন হবে তা ঠাওর করতে পারেননি তিনি। সম্প্রতি এক লাইভে জানিয়েছিলেন নিজেই। বলেছিলেন, “আমি ক্ষমাপ্রার্থী আবেগে আঘাত দেওয়ার জন্য। আগামী দিনে মাথায় রেখে চলব। আমার না সত্যি মাথায় আসেনি এটা হতে পারে।” যদিও চিঁড়ে ভেজেনি। বিতর্ক চলছেই।
