নয়া দিল্লি: বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় আরও বিপাকে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়। ঠগবাজ সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারণেই ইডির নজরে এসেছিলেন মিস শ্রীলঙ্কা। এবার তদন্তকারী সংস্থাকে বিপথে চালিত করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। বুধবারই ইডির জমা দেওয়া চার্জশিটে বলা হয়, সুকেশের অপরাধের ইতিহাস সম্পর্কে সবকিছু জানতেন জ্যাকলিন। এরপরও তিনি ভুয়ো গল্প ফেঁদে কয়েকশো কোটির আর্থিক প্রতারণার তদন্তকে বিপথে পরিচালিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
ইডির প্রশ্নের মুখে পড়ার পর থেকেই জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ় দাবি করেছিলেন যে তিনি সুকেশকে ওতটাও ঘনিষ্ঠভাবে চিনতেন না। তবে বুধবার ইডির পেশ করা চার্জশিটে সাফ জানানো হয়েছে, সুকেশের বিরুদ্ধে মামলাগুলির সম্পর্কে জানতেন না বলে জ্যাকলিন যে দাবি করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি যেমন সুকেশের অপরাধের ইতিহাস সম্পর্কেও জানতেন, তেমনই সুকেশ যে লীনা মারিয়া পল নামক এক মহিলাকে ২০২১ সালে বিয়ে করেন, সে সম্পর্কেও তিনি সবকিছু জানতেন। সমস্ত বিষয় জানা সত্ত্বেও তিনি সুকেশের অপরাধগুলিকে গুরুত্ব না দিয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেন।
ইডির চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, “জ্যাকলিন সুকেশের সঙ্গে সম্পর্কে সবকিছু জানতেন। তাঁর থেকে নানা ধরনের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ ও উপভোগ করেছেন জ্যাকলিন, যা সুকেশের অপরাধমলক কার্যকলাপ থেকেই উপার্জিত অর্থের অংশ।”
উল্লেখ্য, ২০০ কোটির তোলাবাজির মামলার তদন্তেই প্রধান অভিযুক্ত ব্যবসায়ী সুকেশ চন্দ্রশেখর। এই মামলায় জ্যাকলিনকেও চলতি মাসেই অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করে ইডি। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-এর অধীনে এই বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলার তদন্ত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ইডির জেরায় ‘কিক’-র অভিনেত্রী স্বীকার করেছেন যে, সুকেশের কাছ থেকে তিনি ৫টি দামি ঘড়ি, ২০টি মূল্যবান গয়না, ৬৫ জোড়া জুতো, ৪৭টি দামি পোশাক, ৩২টি ব্যাগ, ৪ টি হার্মিস ব্যাগ (বিদেশি ব্রান্ড), ৯টি পেইন্টিং ও ভার্সাচির একটি ডিনার সেট উপহার হিসাবে পেয়েছিলেন সুকেশের কাছ থেকে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়কে আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য তলব করেছে দিল্লি পুলিশ।