ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। বিশ্বসুন্দরী যবে থেকে লাইম লাইটে এসেছেন, তবে থেকেই তাঁকে নিয়ে নিত্য চর্চা হয়ে থাকে ভক্তমহলে। কখনও সামনে উঠে আসতে দেখা যায় তাঁর সম্পর্কের খবর, কখনও আবার সামনে উঠে আসতে দেখা যায় বিবাহ বিচ্ছেদের জল্পনা। ব্যক্তি জীবন যতটা রঙিন তাঁর, ততটাই কটাক্ষে-ব্যঙ্গে ভরপুর। একাধিকবার শুনতে হয়েছে নানা কু-কথা। বিয়ের পর ঠিক কতটা সুখে রয়েছেন তিনি, তা নিয়েও প্রশ্ন বর্তমান তাঁর ভক্তমনে। কখনও শোনা যায় তাঁর জন্য আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সলমন খান, কখনও আবার শোনা যায় তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তিনি নিজেই। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবরও রাতারাতি ছড়িয়ে পড়ে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
পাকিস্তানের এক সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ্যে আসে আত্মহত্যা করেছেন ঐশ্বর্য। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মৃত্যু সংবাদ রটে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। সেই খবরে দাবি করা হয়, ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবির পর এমনই ঘটনা ঘটে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সঙ্গে। এই ছবিতে বোল্ড লুকে ধরা দিয়েছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ও রণবীর কাপুর। তা নিয়ে নাকি বেজায় আপত্তি উঠেছিল বচ্চন পরিবারের অন্দরমহলে। সহ্য করতে না পেড়েই নাকি ঐশ্বর্য রাই বচ্চন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এখানেই শেষ নয়, মারা যাওয়ার খবর রাতারাতি ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
রণবীর কাপুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ফোটোশুটের জন্যই নাকি কোণঠাসা হতে হয়েছিল তাঁকে। উল্লেখ্য রিপোর্ট দাবি করে, সেই কারণেই নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন ঐশ্বর্য। যে খবর প্রকাশ্যে এসেছিল, সেখানে এও শোনা যায়, বচ্চন পরিবারের সদস্যরা ঐশ্বর্যের আত্মহত্যার চেষ্টার খবর কানে আসতেই তা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে তাঁকে তখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় না। বরং বাড়িতেই ডাক্তার ডেকে চিকিৎসা চালানো হয়। মিডিয়ার সামনে থেকে বিষয়টা চাপা রাখতেই নাকি এই সিদ্ধান্ত। এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি খবর ছড়িয়ে পড়ে তিনি মারা গিয়েছে।
যদিও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন তখন বেজায় সুস্থ। পরিবারের সঙ্গের সঙ্গেই ছিলেন। ফলে পলকে এই মিথ্যে খবর ধামা চাপা পড়ে যায়। যদিও অপর সূত্রে খবর, সেই সময় নাকি সত্যি অসুস্থ হয়েছিলেন ঐশ্বর্য। যদিও তারও কোনও সত্যতা প্রকাশ্যে স্বীকার করেননি বচ্চন পরিবার।