কামব্যাক করতে চলেছেন অভিনেতা ফারদিন খান। আঠেরো কেজি ওজন কমিয়ে বলিউডে আবারও ফিরতে চলেছেন তিনি, এগারো বছর পর। তাঁর ওয়েটলস জার্নি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা। তাঁর অধ্যবসায়ে আপ্লুত অনুরাগীরা।
রবিবার পাপারাৎজির লেন্সবন্দী হন ফারদিন। তাঁর নতুন লুক যেন ফারদিনকে এক ঝটকায় পৌঁছে দিয়েছে পনেরো বছর আগে। ফারদিন নিজেও বলছেন, “মনে হচ্ছে পঁচিশ বছর বয়স আমার।” শুধু যে ওজন কমিয়েছেন তা নয় চুলের স্টাইলেও এসেছে পরিবর্তন। সেলিব্রিটি হেয়ার স্টাইলিস্ট আলিম হাকিম ফারদিনের নয়া লুকের ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা দেখে এক নেটিজেনের বক্তব্য, “এই ফারদিনকেই তো এত দিন ধরে খুঁজছিলাম আমরা।
সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়ার অফিসে দেখা গিয়েছে ফারদিনকে। শোনা যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি কামব্যাক করতে চলেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মুকেশ জানান, ফারদিন ফিরে এসেছেন। এবং আগের থেকেও বেশ ভাল লাগছে তাঁকে। বলিউড, যেখানে ঘণ্টায় ঘণ্টায় নতুন মুখের আনাগোনা, সেখানে ১১ বছর পর আবার ফিরে আসা কি আদপে সহজ? ফারদিনের বক্তব্য, তিনি নিজেও জানেন তা সহজ নয়। আগে যে মিডিয়া অ্যাটেনশন তিনি পেয়েছেন তা যে এবারেও পাবেন তা কখনই মনে করেন না তিনি। তবু হাল তিনি ছাড়াবেন না।
কীভাবে সম্ভব হল এই পরিবর্তন? তাঁর কথায়, “লকডাউনের সময় শরীর এবং স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়ার সময় পেয়েছি। ব্যক্তিগত ট্রেনার রেখেছি। ১৮ কেজি কমিয়ে মনে হচ্ছে আমার ২৫ বছর বয়স। এমন একটা পেশায় আমি রয়েছি যেখানে লুক্স ম্যাটার করে। আর সেই চাহিদাটাই আমায় ওজন কমাতে সাহায্য করেছে।” মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও যে শারীরিক স্বাস্থ্যের একটা ভূমিকা রয়েছে সে কথা মেনে নিয়েই ফারদিন জানান ওই কঠিন সময়ে তাঁর পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর দুই সন্তান। তাঁর কথায়, “ছেলেমেয়ে যখন বড় হচ্ছে তখন শরীরের এই বাড়তি ওজন নিঃসন্দেহে বাধার সৃষ্টি করে। আমার মেয়ে স্কেটিং ভালবাস। ছেলে সাইকেলিং। বাবা হিসেবে আমারও ইচ্ছে করত ওঁদের সঙ্গ দিতে।” কিন্তু শারীরিক অসুবিধের কারণে তা সম্ভব হত না। আর সেটাই কোথাও গিয়ে অণুঘটকের কাজ করে ফারদিনের জীবনে।
শুধু ফারদিনই নন, তনুশ্রী দত্তের ওয়েটলস জার্নিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার টপিক । ভোলবদল করে তিনিও এখন আবার ফিট অ্যান্ড ফাইন। শোনা যাচ্ছে, বলিউডে ফিরতে চলেছেন তিনিও। ১৯৯৮ সালে ‘প্রেম আগন’ ছবির মধ্যে দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেন ফারদিন। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১০ সালে মুক্তিপ্রপাত ছবি ‘দুলহা মিল গয়া’ ছবিতে।