তিনি সিনেমা তৈরি করেন। থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত সেই কলেজ জীবন থেকেই। পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্য়ায়ের আরও এক পরিচয় তিনি চিকিৎসক। ডাক্তারি পাশ করেছেন কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে। তিনি এক কন্যা সন্তানের পিতাও। আজ তিনি বিচলিত, লজ্জিত ও শঙ্কিত। শঙ্কিত তাঁর কন্যার নিরাপত্তা নিয়ে। আর জি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া মহিলা ডাক্তারের রহস্যমৃত্যু তাঁকে নাড়িয়ে দিয়েছে। অনভিপ্রেত ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। রাজ্যের অন্যান্য বাবা-মায়েদের মতো তিনিও প্রশ্ন তুলেছেন। শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালের জন্য কলম ধরলেন পরিচালক-চিকিৎসক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।
হাসপাতালে যদি ডাক্তারদের নিরাপত্তা না থাকে, বলতে হবে মানুষেরই নিরাপত্তা নেই। হাসপাতালে চিকিৎসকেরা থাকেন রোগীকে বাঁচানোর জন্য। তাঁদের যদি নিজেদেরই নিরাপত্তা না থাকে, তা হলে তো কেউই নিরাপদ নন। আর জি কর পশ্চিমবঙ্গে এপেক্স হাসপিটাল। সেখানে যদি এই ঘটনা ঘটে, তা হলে বলতে হবে এর নিন্দার কোনও ভাষাই নেই। অপরাধীকে অবিলম্বে ধরতে হবে। ধরে কঠিনতম সাজা দিতে হবে। সহজ কথা, আমি এর বিচার চাই।
এটা একটা ভয়ঙ্করকাণ্ড ঘটে গিয়েছে। নক্কারজনক ঘটনা। এতে কেবল মহিলা চিকিৎসকদের নয়, পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক নারীর অবমাননা হয়েছে। আমি জানি, আর জি করের মতো হাসপাতালে পুলিশ পোস্টিং থাকে। তা সত্ত্বেও এমন ঘটনা ঘটল কীভাবে? বিরাট প্রশ্ন উঠছে।
আমি কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে পড়তাম। আর জি কর হাসপাতালে আমাদের নিত্য যাতায়াত ছিল। ওখানে আমার প্রচুর বন্ধু-বান্ধব ছিল। আমি নাটক করতাম ছাত্রজীবন থেকেই। আর জি করের ফেস্ট ‘নোবেলিয়া’-এ প্রচুরবার গিয়েওছি। হাসপাতাল চত্বরে কোনওদিনও এই ধরনের অনিরাপধ পরিবেশ পাইনি। এন আর এস, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, আর জি কর–কোনও সরকারী হাসপাতালকেই মনে হয়নি বিপদে পড়ার মতো জায়গা। এটা একটা নজিরবিহীন ঘটনা। এই অপরাধের দ্রুত বিচার চাই। আমার মেয়ে আছে। একজন বাবা হিসেবে আমি তাঁর নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কিতবোধ করছি এখন। সহ্য শক্তি হারিয়ে যাচ্ছে।