Exclusive: ‘একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়…’, ‘কেশরী ২’ বিতর্কে সরব মমতা শঙ্কর-গৌতম ঘোষ
ক্ষুদিরাম বসু এবং বারীন্দ্র কুমার ঘোষকে ‘ক্ষুদিরাম সিং’ এবং অমৃতসরের ‘বীরেন্দ্র কুমার’ হিসেবে উল্লেখ করে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন যে, এই ধরনের ভুল উপস্থাপনা ক্ষুদিরাম বসুর মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান করে, ভুল তথ্য প্রচার করে এবং ভাষাগত ও আঞ্চলিক বিভেদের বীজ বপনের ঝুঁকি তৈরি করে।

বিতর্কের কেন্দ্রে অক্ষয় কুমারের ছবি ‘কেশরী চাপ্টার ২’। গত এপ্রিলে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। এখন ওটিটিতে স্ট্রিমিং হচ্ছে। বিধাননগর দক্ষিণের সেক্টর ৪-এর নবপল্লির বাসিন্দা রণজিৎ বিশ্বাস অভিযোগ দায়ের করেছেন যে, জিও হটস্টারে প্রচারিত ‘কেশরী চ্যাপ্টার – ২’ ছবিতে মুজফফরপুর ষড়যন্ত্র মামলার একটি আদালত কক্ষের দৃশ্যে বাংলার বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু এবং বারীন্দ্র কুমার ঘোষকে ‘ক্ষুদিরাম সিং’ এবং অমৃতসরের ‘বীরেন্দ্র কুমার’ হিসেবে উল্লেখ করে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন যে, এই ধরনের ভুল উপস্থাপনা ক্ষুদিরাম বসুর মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান করে, ভুল তথ্য প্রচার করে এবং ভাষাগত ও আঞ্চলিক বিভেদের বীজ বপনের ঝুঁকি তৈরি করে।
এই নিয়ে এবার সরব টলিপাড়া। TV9 বাংলাকে পরিচালক গৌতম ঘোষ বললেন, “আমার মনে হয়, যে কোনও ছবি করতে গেলে তার ঐতিহাসিক দিকটায় ভালভাবে নজর রাখা উচিত। সেগুলোকে বিকৃত করা উচিত নয়। ইতিহাস এমন একটা বিষয়, যাকে মানুষ নানা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন। কিন্তু প্রচুর ঐতিহাসিকবিদ আবার ইতিহাসকে বৈজ্ঞানিকভাবে দেখার চেষ্টা করেছেন। ফলে আমার মনে হয়, যে কোনও ছবিই করি, আমার কাছে যেন গবেষণাটা ঠিক থাকে। অন্তত তথ্যগত ভুলগুলো না হয়। তার সঙ্গে যেন এক সমবেদনা থাকে। কারণ, সমস্ত পৃথিবী দিন-দিন অমানবিক হয়ে যাচ্ছে। মানুষ আর বোধহয় মানব নেই। এটা আমায় ভয়ঙ্করভাবে নাড়া দেয়।”
একই সুর অভিনেত্রী মমতা শঙ্করের কণ্ঠেও। TV9 বাংলায় তিনিও বললেন, “যেকোনও ছবির ক্ষেত্রে রিসার্চ বিষয়টা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ভীষণ দরকার। সেখানে কীভাবে ভূল হয় আমি জানি না। একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়। কিন্তু সেটা নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না, কারণ আমি বিষয়টা দেখিনি। তবে এতটা ভূল হওয়ার কথা নয়। এটা ভূল নয়। আমার মনে হয় জেনে শুনেই করেছেন। এখন কেন করেছেন, সেটা জানতে হবে।”





