গলায় গাঁদার মালা, ‘রাতদুপুরে’ গেরুয়া-লাল আবিরে রঙিন হয়ে উঠলেন রুদ্রনীল, রইল একগুচ্ছ ছবি
রুদ্রনীলের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটলেই চোখে পড়বে সেলিব্রেশনে সেই সব টুকরো ছবি। আট থেকে আশি, মহিলা থেকে পুরুষ-- শামিল হয়েছিলেন রঙের উৎসবে। সেই সব ছবিই শেয়ার করে রুদ্রনীলের ক্যাপশন, " ভবানীপুরে রাতদুপুরে, হোলির আভাস উপচে পড়ে।" গলায় শোভা পাচ্ছিল গাঁদা ফুলের মালা, চওড়া হাসি জানান দিচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ‘পাড়া’য় জনসংযোগের কাজ চলছে ভালভাবেই।
রাতদুপুরেই মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুক ভবানীপুর হয়ে উঠল রঙিন। লাল, গেরুয়া, হলুদ আবিরে রাঙা হল চারপাশ। সৌজন্যে রুদ্রনীল ঘোষ। ওই অঞ্চলের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল স্থানীয়দের সঙ্গে শনিবার রাতেই মেতে উঠলেন দোল উৎসবে। হল নেড়াপোড়াও। আবদার মেটালেন সেলফিরও।
রুদ্রনীলের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটলেই চোখে পড়বে সেলিব্রেশনে সেই সব টুকরো ছবি। আট থেকে আশি, মহিলা থেকে পুরুষ– শামিল হয়েছিলেন রঙের উৎসবে। সেই সব ছবিই শেয়ার করে রুদ্রনীলের ক্যাপশন, ” ভবানীপুরে রাতদুপুরে, হোলির আভাস উপচে পড়ে।” গলায় শোভা পাচ্ছিল গাঁদা ফুলের মালা, চওড়া হাসি জানান দিচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ‘পাড়া’য় জনসংযোগের কাজ চলছে ভালভাবেই।
এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে এতদিন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ মুখোমুখি হবেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের।
প্রসঙ্গত, তাঁর গালে লাগান রকমারি আবিরের মতোই রুদ্রনীলের কেরিয়ারেও বারবার ফিরে এসেছে রাজনীতির নানা রং। কখনও তাঁর হাতে শোভা পেয়েছে লাল পতাকা, কখনও তিনি ঝুঁকেছেন সবুজে, আবার সাম্প্রতিক কালে তিনি বেছে নিয়েছে গেরুয়া। টিকিট পাওয়ার পর সে প্রসঙ্গে রুদ্রনীল বলেছিলেন, “বামপন্থীরা বামপন্থার কথা বলেন। কিন্তু রাজনীতি করতে এসে সেই বামপন্থার কথা ভুলে গিয়েছেন তাঁরা। যে কারণে আমরাও দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা পালটাইনি। সব মানুষের উপকার হবে, এটা ভেবেই গিয়েছিলাম। তৃণমূলের ওপর আস্থা তৈরি হয়েছিল। তারপর ২-৩ বছর পর দেখা গেল তৃণমূল উলটো জিনিস করা শুরু করেছে। সকলে আশাহত হয়ে গেলেন। দুর্নীতি হচ্ছে, কিন্তু সরকার কোনও শাস্তি দিচ্ছে না।”
এর পরেই এ বছরের গোড়াতেই পাকাপাকি ভাবে বিজেপিতে যোগদান করেন অভিনেতা। প্রথম থেকেই প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে বারেবারেই শোনা যাচ্ছিল তাঁর নাম। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে রুদ্রনীল জানিয়েছিলেন হাওড়ার শিবপুর যেহেতু তাঁর জন্মস্থান, তাই টিকিট পেলে সেখান থেকেই ভোটে লড়তে চান তিনি। তবে শেষমেশ তিনি টিকিট পান ভবানীপুরের। নিজের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী রুদ্রনীল। টিকিট পাওয়ার পর প্রচারও চলছে জোরকদমে। রুদ্রনীলের জনপ্রিয়তাই কি ইউএসপি হয়ে দেখা দেবে ভোট বাক্সে? তা বলবে সময়।