অক্ষয় কুমার, বলিউডের অন্যতম অ্যাকশন হিরো। যিনি প্রাথমিকভাবে অভিনেতা হওয়ার কথা কখন কল্পনাই করেননি। প্রথম থেকেই কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেতা। অর্থ উপার্জন করার জন্য নানা পেশায় নিজের ভাগ্য যাচাই করতে শুরু করেছিলেন প্রাথমিকভাবে। তিনি কেবল চেয়েছিলেন পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। শিখেছিলেন মার্শাল আর্ট। যে শিক্ষা নিতেই তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন মুম্বইতে। সেখানেই তাঁর এক ছাত্রের বাবা অক্ষয় কুমারকে প্রথম বিজ্ঞাপনে কাজ করার একটা সুযোগ করে দেন। যা দেখে বেজায় খুশি হয়েছিলেন অক্ষয় কুমার। তিনি ভাবতেও পারেননি এত সহজে আয় করা সম্ভব। তিনি খাবারও পাচ্ছেন, তেমন পরিশ্রমও করতে হচ্ছে না, আবার তাঁকে টাকাও দেওয়া হচ্ছে।
তখন তিনি স্থির করেন এই পেশাকেই গ্রহণ করবেন। তবে তার জন্য প্রয়োজন পোর্টফোলিও। এক বন্ধু ফোটোগ্রাফারকে নিয়ে তিনি পৌঁছিয়ে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ের বিচের পাশে এক বাংলোর সামনে। সেখানে পোজ দিয়ে দাঁড়াতেই তাঁকে দূর-দূর করে সেখান থেকে বার করে দেন বাংলোর সিকিউরিটি। শত অনুরোধেও সেদিন কোনও কাজ হয়নি। তিনি স্থির করেছিলেন, সেই বাংলো তিনি একদিন কিনবেন। তাই করেন। অনেকেই হয়তো জানেন না, চাঁদনি চকে যখন তিনি বড় হয়েছিলেন, তখন তিনি ২৪ জনের সঙ্গে একটা ঘরে থাকতেন। মুম্বইতে আসার আগে এটাই ছিল অক্ষয় কুমারের অন্দরমহলের কাহিনি।
ঘর থেকে বেরতে হলে অন্যদের টপকে যেতে হত। এখানেই শেষ নয়, সপ্তম শ্রেণিতে ফেলও করেছিলেন তিনি, সবটাই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন। অক্ষয় কুমার বলিউডে একের পর এক যখন সুপারহিট ছবি দিচ্ছিলেন, দুর্যোগ তখনও বাকি ছিল। একটা সময় পর পর তেরোটি ছবি তাঁর ফ্লপ হয়ে যায়। যা রীতিমত অবাক করেছিল সকলকে। অক্ষয় কুমার তখনই স্থির করেছিলেন ভারত ছাড়বেন। নিয়েছিলেন কানাডার নাগরিকত্ব। যদিও সেই অক্ষয় এখন বলিউডের স্টার। যদিও সম্প্রতিতে আবারও বক্স অফিস সমীকরণ পাল্টে বেজায় চিন্তায় ফেলেছেন তিনি ভক্তদের।