১০ জানুয়ারি, ২০২৪। দ্বিতীয় স্ত্রী অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিভোর্স দিয়েছেন অভিনেতা উত্তরপাড়ার তৃণমূল-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। পরের মাস আসতেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন কাঞ্চন। তাঁর দশ বছরের চর্চিত প্রেমিকা অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজকে আইনিভাবে বিয়ে করলেন ১৪ ফেব্রুয়ারি। কাকতালীয়ভাবে সেই দিন ভ্যালেন্টাইন্স ডে এবং বাঙালির ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ সরস্বতী পুজো। দিনটিকে বিশেষভাবে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ওইদিনই শ্রীময়ীকে নিজের করে পেলেন কাঞ্চন। জানেন কি, নিজের চেয়ে ২৭ বছরের ছোট শ্রীময়ীকে কীভাবে নিজের দিকে আকৃষ্ট করেছিলেন অভিনেতা।
“জানেন আমাকে কীভাবে পটিয়েছেন কাঞ্চন?” নিজের মুখে বলেছেন শ্রীময়ী। এক সাক্ষাৎকারে শ্রীময়ী বলেছেন, “দারুণ সুন্দর কথা বলে কাঞ্চন। ভুলিয়ে-ভালিয়ে মহিলাদের দারুণ ইমপ্রেস করতে পারে কথার জাদুতেই। আমাকে একেবারে পটিয়ে ফেলেছিল। আর আজ দেখুন আমি তাঁকে বিয়ে করতে চলেছি।”
মহিলারা কেন বারবার আকৃষ্ট হয় কাঞ্চনের দিকে? এমন কথা জানিয়েছিলেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জানিয়েছিলেন ঠিক কীভাবে কাঞ্চন মহিলাদের নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে পারেন। পিঙ্কিও বলেছিলেন, “ভীষণ ভাল কথা বলতে পারেন কাঞ্চন। এবং তাতেই মহিলারা গলে যেতে পারেন। আমি তাঁর কথাগুলো ফেস ভ্যালুতে বিশ্বাস করেছিলাম জানেন?।
৬ মার্চ মধ্য কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের একটি ব্যাঙ্কোয়েট হলে সামাজিকভাবে বিয়েটা সারবেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। বিয়ের জন্য চলছে জোরকদমে প্রস্তুতিও। শ্রীময়ী মনের মতো করে সাজবেন কাঞ্চনকে। বিয়েতে থাকছে নানা ধরনের খাওয়াদাওয়াও। থাকছে মটন। রান্না করতে খুবই ভালবাসেন শ্রীময়ী। এবং তাঁর হাতে তৈরি রান্না খেতে ভালবাসেন অভিনেতা। বলেছেন, “আমার হাতে মটন খেতে ভীষণই ভালবাসেন কাঞ্চন। অনেকবারই খেয়েছেন।”
দু’দুবার বিয়ে করেছেন কাঞ্চন মল্লিক। দুটোর একটাও টেকেনি। কেবল তাই নয়, দ্বিতীয় স্ত্রীর থেকে তাঁর এক সন্তানও রয়েছে। এমন এক পাত্রকে মেনেও নিয়েছে শ্রীময়ীর পরিবার। শ্রীময়ীর কথা অনুযায়ী, পরিবার চান তাঁদের মেয়ে যাতে ভাল থাকেন। শ্রীময়ীর চেয়ে ২৭ বছরের বড় কাঞ্চন। কাঞ্চনের ৫৩। শ্রীময়ীর ২৬। বয়সের এই দেড় দশকের ব্যবধানে কিছুই যায় আসে না শ্রীময়ীর পরিবারের। শ্রীময়ী বলেছেন, “আমার পরিবার চায়, আমরা যাতে সুখে থাকি। কাঞ্চনের পরিবারের জন্য আমার পরিবারের সমবেদনা রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর অতীত জীবন নিয়ে কোনওই আগ্রহ নেই তাঁদের। তাঁরা ভাবিত নন।”