শেষ বয়সে কেমন দেখতে ছিলেন সুচিত্রা? যা জানালেন প্রত্যক্ষদর্শী

Suchitra Sen: বাইরের জগৎকে মন থেকে এতটাই বিদায় দিয়েছিলেন সুচিত্রা যে ২০০৫ সালে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার নিতেও দেখা যায়নি তাঁকে। হঠাৎ করে অন্তরালে চলে যাওয়ার বিষয়টা পরিবারের লোক হিসেবে কীভাবে দেখেছিলেন লগ্না?

শেষ বয়সে কেমন দেখতে ছিলেন সুচিত্রা? যা জানালেন প্রত্যক্ষদর্শী
সবটা স্পষ্ট প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে
Follow Us:
| Updated on: May 25, 2024 | 3:14 PM

সুচিত্রা সেন– তিনি মহানায়িকা। এত যুগ পরেও তাঁকে নিয়ে ভক্তমহলে কৌতুহলের সীমা নেই। নিজেকে অন্তঃপুরে বন্দি করে রেখেছিলেন শেষের কয়েকটি বছর। বের হতেন না, সিনেমা জগৎ থেকেও ছিলেন বিচ্ছিন্ন। সব থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে সিদ্ধান্ত ছিল একান্ত নিজস্ব। যত তিনি নিজেকে আড়াল করেছেন তত তাঁকে নিয়ে মানুষের মনে আগ্রহ বেড়েছে। তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য বাড়ির সামনে দিনরাত হাঁ-পিত্যেশ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে উদগ্রীব ভক্তকে।

কিছুটা মিথ আর কিছুটা মিস্ট্রির মেলবন্ধনে ঘেরা এই মানুষটিকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন লগ্না ধর, যিনি সম্পর্কে সুচিত্রার বোনঝি। বাংলার ‘গ্রেটা গার্বো’কে নিয়ে টিভিনাইন বাংলার কাছে এমন কিছু তথ্য তিনি জানিয়েছিলেন যা হয়তো সুচিত্রাপ্রেমীদের কাছে সারাজীবনের সঞ্চয়। টিভিনাইন বাংলাকে তিনি বলেন, “নিজে খুব একটা রান্না করতেন না। কিন্তু আমার মনে আছে, একবার ডিমের ডালনা রান্না করে খাইয়েছিলেন। খেতে ভালই হয়েছিল সেটা। মাসির রান্না ঘরে যাওয়ার কোনওদিনও দরকারও পড়ত না। বাবুর্চি থাকত।” সুচিত্রা কেমন দেখতে হয়েছিলেন তা নিয়ে যতনা সত্যি রটেছিল তার চেয়েও বেশি রটেছিল গসিপ। অথচ লগ্না বলছেন, শেষ বয়সেও তাঁর মাসি ছিলেন পরমসুন্দরী। তাঁর কথায়, “কেউ যদি বলে থাকেন, মাসির চেহারা খারাপ হয়ে গিয়েছে… তা হলে খুব ভুল বলেছেন। সাদা চুলেও মাসি ততটাই সুন্দর ছিলেন। সেই গ্রেসটা কিন্তু ছিলই।”

বাইরের জগৎকে মন থেকে এতটাই বিদায় দিয়েছিলেন সুচিত্রা যে ২০০৫ সালে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার নিতেও দেখা যায়নি তাঁকে। হঠাৎ করে অন্তরালে চলে যাওয়ার বিষয়টা পরিবারের লোক হিসেবে কীভাবে দেখেছিলেন লগ্না? তাঁর কথায়, “দারুণ সিদ্ধান্ত ছিল এটা। আমি জানি না ঠিক কোন কারণে এই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন। কিন্তু পরিবারের মানুষ হিসেবে আমরা সমর্থন করেছিলাম। তারকারা মধ্যগগনে থাকার পর এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। কিন্তু মাসি পেরেছিলেন। মানুষও কিন্তু তাঁকে সেই জায়গাতেই রেখে দিয়েছেন চিরটাকাল।”