AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রূপঙ্কর বাগচী গান শেখাতে কত টাকা পারিশ্রমিক চান? কোথায় তাঁর স্কুল?

Rupankar Bagchi: লকডাউনের সময় থেকে গান শেখাচ্ছেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। প্রথমে অনলাইন ক্লাস নিতেন তিনি। এখন সামনাসামনি গান শেখাবেন গায়ক। সেই গানের স্কুলের মাইনে কত? তিনি নিজেই শেখাবেন? নাকি অন্য কেউ তাঁর হয়ে গান শেখাবেন? আচ্ছা, কটা করে ক্লাস মাসে? অভিভাবকদের মনে নানা প্রশ্ন। গায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করে উত্তর পেল TV9 বাংলা।

রূপঙ্কর বাগচী গান শেখাতে কত টাকা পারিশ্রমিক চান? কোথায় তাঁর স্কুল?
রূপঙ্কর বাগচী।
| Updated on: Apr 30, 2024 | 7:00 AM
Share

বেশ কয়েক মাস হল ছাত্র-ছাত্রীদের গান শেখাচ্ছেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। লকডাউনের সময় থেকে এই কাজ শুরু করেছেন অভিনেতা-গায়ক। রূপঙ্করের গানের অ্যাকাডেমি এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে একটি পোস্ট রূপঙ্কর শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক)-এ। সেখানে তিনি জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা যেন তাঁর কাছে গান শিখতে আসেন। যোগাযোগের জন্য একটি নম্বরও শেয়ার করেছেন রূপঙ্কর। তারপর TV9 বাংলা যোগাযোগ করে রূপঙ্করের সঙ্গে। জানতে চায় স্কুলের মাইনে কত, কে শেখাবেন এবং কবে-কবে ক্লাস।

রূপঙ্কর বাগচীর গানের স্কুলটি যাদবপুরে রয়েছে। সেই স্কুলে এখন কিছু বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী গান শিখতে আসেন। রূপঙ্কর তাঁদের গিটার বাজিয়ে নিজে হাতে গান শেখান। গায়ক বলেছেন, “আমার গানের স্কুলটা আরও বড় করছি। এটা লকডাউনের সময় শুরু হয়েছিল। প্রচুর অনলাইন ক্লাস করিয়েছি আমি। এখন হাতে কলমে গান শেখাবো।”

রূপঙ্কর বাগচীর গানের স্কুলের মাইনে কত? প্রশ্ন আসতেই পারে মনে। গায়ক বলেছেন, “প্রত্যেক মাসে ২০০০ টাকা করে আমার গানের স্কুলের মাইনে। মাসে দু’দিন করে ক্লাস। আমি নিজে গান শেখাই। আমার হয়ে কোনও সহকারী গান শেখান না। এটা আগেই বলে দিলাম। আমার গানের স্কুলের অ্যাডমিশন ফিজ় ৩০০০ টাকা।”

রূপঙ্করের গানের স্কুলের কোনও বয়স সীমা নেই। ৪ থেকে ৮০ যে কোনও বয়সের মানুষ তাঁর কাছে গান শিখতে পারেন। রূপঙ্কর বলেছেন, “চার বছর বয়স হলেই আমার কাছে গান শিখতে আসতে পারেন ছাত্র-ছাত্রীরা। বৃদ্ধ বৃদ্ধারাও চাইলে আসতে পারেন। আমি সানন্দে তাঁদের গান শেখাব। আমি মনে করি গান শেখার কোনও বয়স নেই।”

রূপঙ্কর বাগচীকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তাঁকে নিয়ে বিরাট বিতর্ক হয়েছিল বছর খানেক আগে যখন কলকাতায় গান গাইতে এসেছিলেন বলিউডের গায়ক কেকে। বলিউড গায়কদের প্রতি কলকাতাবাসীর মাত্রাতিরিক্ত ভালবাসা দেখে বিতৃষ্ণাভরা একটি ভিডিয়ো রূপঙ্কর পোস্ট করেছিলেন রূপঙ্কর। এবং রাগের সঙ্গে বলেছিলেন, “হু ইজ় কেকে”। তাঁর এই ভিডিয়ো পোস্ট হওয়ার কিছুক্ষণ পরই জানা যায়, কলকাতায় গান করতে-করতে বুকে ব্যথা শুরু হয় কেকের। কলকাতাতেই মারা যান তিনি। তারপর থেকেই তীব্র কটাক্ষ এবং মন্তব্যের শিকার রূপঙ্কর। তাঁর স্ত্রী এবং কন্যাকেও রেয়াত করেনি ট্রোলাররা। কঠিন নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকতে হয়েছিল গায়ককে। কেন না, সেই সময় তাঁকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।

এই সব কালো অধ্যায় পেরিয়ে নতুনভাবে জীবনটাকে গুছিয়ে নিয়েছেন রূপঙ্কর। গানের প্রতি তাঁর ভালবাসা বেড়েছে আরও। কেকের প্রতি তাঁর এই মন্তব্যের জন্য কিন্তু প্রেসক্লাবে কনফারেন্স করে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি।