টিনএজেই বিনোদন জগতের সঙ্গে হাতেখড়ি তাঁর। তবে নিজের ইচ্ছেয় নয়। সংসারের অর্থনৈতিক টানাপড়েনই বাধ্য করেছিল তাঁকে এই পেশা বেছে নিতে। তখন তাঁর মাত্র ১৪ বছর বয়স। এক সাক্ষাৎকারে আবারও বিস্ফোরক বলিউডের ‘হারিয়ে যাওয়া’ অভিনেত্রী রিমি সেনের।
রিমি জানান সে সময় তিনি স্কুলে। বাড়ির অবস্থা একেবারেই ভাল ছিল না। আর সে কারণেই অভিনয়। তাঁর কথায়, “আমি যেন অর্থ উপার্জনের মেশিন ছিলাম। আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল পয়সা রোজগার।” তাই খ্যাতি নয় অর্থই ছিল তাঁর কাছে মুখ্য। তিনি যোগ করেন, “স্টারডম, অ্যাটেনশন চাইনি। অভিনয়ও করতে চাইনি। চেয়েছিলাম প্রযোজক অথবা পরিচালক হতে। আমার পছন্দের ছবি বানানোর ইচ্ছে ছিল। যে রকম চরিত্র পাচ্ছিলাম তা নিয়েও খুশি ছিলাম না আমি। কিন্তু পয়সার দরকার। সেটা ছিল খুবই।”
বিগত দশ বছর ধরে বলিউডের নতুন কোনও ছবিতে দেখা যায়নি এক সময় ‘হাঙ্গামা’, ‘ধুম’-এর মতো হিট ছবির অভিনেত্রী রিমিকে। সিন কয়েক আগে সে প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিমি জানান, ক্রমাগত টাইপকাস্ট হয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁকে শুধুমাত্র কমেডি ছবির অফারই দেওয়া হচ্ছিল। ‘জনি গদ্দার’-এর মতো ছবিতে কাজ করলেও তা হিট হয়নি। তাঁর কথায়, “রামা রাঘবন, নীরোজ পাণ্ডে, সুজিত সরকারের মতো পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলাম। তা হচ্ছিল না।”
কিন্তু কেন? অকপট অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “কমেডি ছবি দিয়েই আমার বলিউড যাত্রা শুরু। কিন্তু আমার পিআর ছিল জিরো। যদি তুমি তোমার পছন্দের মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাও তাহলে তাঁদের সঙ্গে দেখা করারও প্রয়োজন। আমি তা করিনি।” রিমির বিস্ফোরক মন্তব্য, এই দশ বছরে তিনি বুঝতে পেরেছেন ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে গেলে শুধুমাত্র অভিনয় করা আর উপার্জন করা নয়। পিআর বজায় রাখা সবচেয়ে জরুরি। রিমি বলেন, , “সব সময় ভাল ব্যবহার আর তাঁদের ইগোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা জরুরি। ডিপ্লোমেটিক ভাবে জবাব বা খারাপ ব্যবহার কোনওভাবেই কাম্য নয়।” রিমির অকপ্ট স্বীকারোক্তি, “আমি ছোট ছিলাম। সেভাবে ম্যাচিওরিটি আসেনি। শুধুমাত্র হার্ডওয়াক বা কঠোর পরিশ্রমই সবটা নয়। লবির দরকার। যা আমার ছিল না।”