AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Exclusive: শাকিবের সঙ্গে আবারও পর্দায় ইধিকা? একের পর এক ছক্কা হাঁকাচ্ছেন অভিনেত্রী

Idhika Paul: ইধিকা হয়ে উঠলেন শাকিব খানের 'প্রিয়তমা'। তারপর দেবের বিপরীতে। ছবি খাদান। নাহ, এখানেই থেকে থাকা নয়। আবারও শাকিবের চোখে ইধিকা। এই জুটিকে বাংলাদেশের দর্শকেরা এতটাই ভালবাসা দিয়েছেন, যে আবারও একসঙ্গে ফিরছেন তাঁরা কাজে। সূত্রের খবর, মুম্বইতেই নাকি শুরু হতে চলেছে শুটিং।

Exclusive: শাকিবের সঙ্গে আবারও পর্দায় ইধিকা? একের পর এক ছক্কা হাঁকাচ্ছেন অভিনেত্রী
| Updated on: Oct 07, 2024 | 2:04 PM
Share

ইধিকা পাল, টেলিভিশন জগত থেকে অভিনয়ে পা রাখা। তবে ভাগ্যের চাকা ঘুরতে খুব বেশিদিন সময় লাগল না। বাংলাদেশ থেকে প্রথম এল বড় ব্রেক। ইধিকা হয়ে উঠলেন শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’। তারপর দেবের বিপরীতে। ছবি খাদান। নাহ, এখানেই থেকে থাকা নয়। আবারও শাকিবের চোখে ইধিকা। এই জুটিকে বাংলাদেশের দর্শকেরা এতটাই ভালবাসা দিয়েছেন, যে আবারও একসঙ্গে ফিরছেন তাঁরা কাজে। সূত্রের খবর, মুম্বইতেই নাকি শুরু হতে চলেছে শুটিং। যদিও TV9 বাংলা এই প্রশ্ন করতেই বিষয়টা এড়িয়ে গেলেন ইধিকা। হাসি মুখে বললেন, ‘ঠিক সময় মত সবটা জানাব’।

ধারাবাহিক থেকে বড়পর্দার নায়িকা। গত এক বছরে কতটা পাল্টালো জীবন? 

খুব বেশি পরিবর্তন লক্ষ্য করি না। কারণ আগের বছর পুজোর আগেই প্রিয়তমা মুক্তি পেয়ে গিয়েছিল। এবার পুজোর সময় যখন বেরব, তখন বুঝতে পারব মানুষের মনে উত্তেজনা কতটা। একটা পরিবর্তনের কথা বলতেই পারি, আগের বছর এই সময়টা ফআঁকা ছিলাম। এবছর এই সময় শুট নিয়ে ব্যস্ত।

বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে ডাক পাচ্ছেন? 

আগেরবারের থেকে এবার মানুষের আবদার আবেদন অনেকটাই বেশি। তবে মজার বিষয় হল, আগের বছর আমি ফাঁকা ছিলাম, অথচ মানুষের আবদার ছিল কম। এবার আমি ব্যস্ত, তার মাঝেই অনেক জায়গা থেকে ডাক পাচ্ছি।

প্রথম বড় ব্রেক দিল বাংলাদেশ। কলকাতার নামী অভিনেত্রীদের প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে যখন এমন চরিত্র জিতে নেওয়া যায়, তখন কেমন লাগে? 

সত্যি খুব ভাল লাগে। আমি যে খুব বড় কোনও কাজ করেছিলাম এমন নয়। ছোটপর্দা থেকে গিয়ে, অন্য একটা দেশে একটা লিড পাওয়া, এটা আমার কাছে আশীর্বাদ।

কেরিয়ারে একটা বড় ব্রেক হয়তো অনেকেই পেয়ে যান। অনেকেই আছেন যাঁরা ধারাবাহিক থেকে বড়পর্দায় আসছেন। সবক্ষেত্রে কাজ পাওয়ার মাত্রাটা বজায় থাকে না। আপনার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। 

ঈশ্বরের কাছে এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি যখন অন্য দেশে ডেবিউ করলাম এক সুপারস্টারের বিপরীতে। আমি যখন আমার ইন্ডাস্ট্রিতে ডেবিউ করতে চলেছি, সেখানেও এক সুপারস্টারের বিপরীতে। এটা আমার কাছে কেরিয়ারের মাইলস্টোন বলা চলে। সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। মার্জিনটা আরও উঁচুর দিকে যাক।

এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মানুষের আশাটাও তো বেড়ে যায় অনেকটা। সেটা ধরে রাখাটাও তো চ্যালেঞ্জ!

একেবারে সত্যি। তাই কাজ বুঝে কাজের প্রস্তাব গ্রহণ করছি। আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে যাব। মানুষ যাতে কখনই আমার প্রতি সেই আস্থাটা না হারায়। সবকিছুরই ভাল-খারাপ দিক রয়েছে। তাই সচেতন, সতর্ক থাকাটা জরুরী।

কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় না করেও তাহলে মানুষের নজরে আসা যায়?

নিশ্চয়ই যায়। ভাল চরিত্র দিয়েই কাজ পাওয়া যায়। আমি না কোনওদিন এসব নিয়ে ভাবিনি। আমায় যে চরিত্র দেওয়া হয়, আমি চেষ্টা করি সব সময় সেই চরিত্রের মান রাখার। দর্শকদের নজরে সেই চরিত্র হয়ে ওঠার। সেটা ১০ মিনিটের একটা চরিত্রও হতে পারে। তবে তার যেন একটা গুরুত্ব থাকে। ঠিক যেমন বব বিশ্বাস।

দুই বাংলার দুই সুপারস্টারের বিপরীতে কাজ, কার ক্ষেত্রে কেমন অভিজ্ঞতা? 

দুজনের মানসিকতা নিঃসন্দেহে আলাদা। কারণ দুটো আলাদা মানুষ। তবে সেটে অনেকটাই তফাৎ পাই। শাকিব খান অনেকটা বেশি সুপারস্টার মোড়কে থাকেন। থাকেন বলা ভুল, ওনাকে ওভাবেই রাখা হয়। ফলে উনি কথাটা বেশ খানিকটা কম বলেন। অন্যদিকে দেবদা ভীষণ সাধারণ। সেটে পা রাখার আগে সুপারস্টার তকমাটা ঝেরে ফেলেন। অনেক বেশি কথা বলে সম্পর্ক খুব দ্রুত সহজ করে নিতে পারেন। বাকিটা দুজনেই দর্শক মহলে হিট, সেই পেশাদারিত্বটা বজায় রাখেন। কেউ আমার সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করেননি। খুব যত্নের সঙ্গে কাজ করার পরিবেশ দিয়েছেন তাঁরা।

অনেক নায়িকাকেই দেখা যায় বড় ছবিতে বড় ব্রেক পাচ্ছেন ঠিকই, তবে অভিনয় করার জায়গাটা নেই। আপনার ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটেনি। 

আমরা তো পারফর্মিং আর্টিস্ট। কাজটা দেখানোর সুযোগ না পেলে কী লাভ? তাহলে এই পেশার আনন্দটা কোথায়? একটা ছোট্ট চরিত্র হলেও তাতে আমার অভিনয়টা করার সুযোগ দিতে হবে। চরিত্রটাকে নিয়ে যদি না ভাবলাম, একটু হোমওয়ার্ক করলাম, তবে আমি এগোব কীভাবে? নিজেকে সমৃদ্ধ করবে কী উপায়? কাজটা দেখে কেন মানুষ আমায় মনে রাখবে বলুন?

সাক্ষাৎকারের বাকি অংশ আগামীকাল, মঙ্গলবার (৮.১০.২০২৪)