কথায় আছে ‘জো দিখতা হ্যায়, ও বিকতা হ্যায়।’এই প্রবাদকেই এখন নিজেদের রক্তে মিশিয়ে নিয়েছেন দক্ষিণী নির্মাতারা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় সিনেমায় গল্প বলার ধরন বদলেছে। পরিবর্তন এসেছে কাহিনিতে। এখন অনেক বেশি মন দেওয়া হয় সিনেমার গল্পে। বলা হয় ‘কনটেন্ট ইজ দ্য কিং’।
বর্তমানে একটি ছবি তৈরির জন্য যতটা বাজেট রাখার হয়। তেমনই ছবির প্রচারের জন্যও বিশেষ বাজেট রাখা হয়। একটা সময় ছবির প্রচারের জন্য নানা ধরনের কৌশল পরিকল্পনার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে ছিল বলিউড ছবি। মুম্বইয়ে ছবির নির্মাতাদের থেকে নানা ধরনের চমক দেখার অপেক্ষায় থাকতেন তাঁরা। এখন বলিউডি কায়দাকে রীতিমতো টক্কর দিতে প্রস্তুত দক্ষিণী ছবি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বলিউডকে গোল দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণী নির্মাতারা। ঠিক কী কারণে পিছিয়ে পড়ছে বলিপাড়া?
ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে অনেকেরই মতামত, এমন অনেকগুলো কারণ প্রকাশ্যে চোখে পড়ছে যার ফলে পিছিয়ে পড়ছে হিন্দি সিনেপাড়া। বাহুবলি, কেজিএফ থেকে পুষ্পার মতো ছবির সাফল্য অন্তত সে কথাই বলে। ছবি তৈরির সময় এটা কেউ বুঝতে পারেননি যে এই ছবিগুলো এ ভাবে বক্স অফিসে সাড়া ফেলবে। কিন্তু দক্ষিণী প্রযোজকরা বিশেষ করে ছবির পোস্টার, টিজার, ট্রেলার তৈরির দিকে মন দেন।
ছবির প্রচার যাতে সফল ভাবে হয় সেই অনুযায়ী যুক্ত করেন সবাইকে। ইদানীং ছবির পাইরেসির পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বলিউড ছবির ক্ষেত্রে। যা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে গোটা ইন্ডাস্ট্রির উপরে। সেখানেই দক্ষিণী ছবির নির্মাতারা ছবি তৈরি থেকে ছবির প্রচার এবং মুক্তি পর্যন্ত অত্যন্ত সতর্ক থাকেন। যাতে অন্দরের কথা কোনও ভাবেই বাইরে না যায়। দক্ষিণী ছবির বাড়বাড়ন্ত দেখে অনেকের মনেই তাই একটাই প্রশ্ন কেন পিছিয়ে পড়ছে বলিপাড়া?