সন্তান নিলে কি শরীর বা ফিগার নষ্ট হয়ে যায় সেলেবদের! না, প্রতিটা ক্ষেত্রে তা প্রমাণ করেছেন অভিনেত্রীরা। সন্তান জন্ম দেওয়ার পরই ফিরেছেন নিজের ছন্দে, কাজে দিয়েছে মন এ ফিগারও ধরে রেখেছেন। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন সেই চেনা ছন্দ থেকে বেরিয়ে আরও একটা ঝুঁকি নিতে রাজি ছিলেন না প্রাথমিকভাবে করিনা কাপুর। বিষয়টা ঠিক কেমন! সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান নেওয়াটা এখন খুব সাধারণ বিষয়। নানা জন নানা কারণ বশত এই পন্থায় পা বাড়াচ্ছেন। করিনা কাপুরও চেয়েছিলেন একটা সময়। যখন তাঁরা দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার কথা ভাবেন, তখনই করিনা কাপুর দিয়েছিলেন সইকে প্রস্তাব।
বলেছিলেন, সারোগেসি করলে ঠিক কেমন হয়! এই উত্তরে সইফ জানিয়েছিলেন, যখন স্বাভাবিকভাবে তা সম্ভব তখন নিজেরাই চেষ্টা করে দেখা ভাল। কেন অনন্য কোনও উপায়ের কথা ভাবা হচ্ছে। তিনি জানান, নিজেরাই আগে চেষ্টা করে দেখা যাক, যখন তাঁরা সন্তান নেবেন বলে স্থির করেছেন, তখন অন্যভাবে কেন! প্রশ্নের উত্তরে এক কথায় রাজি হয়েছিলেন করিনা কাপুর। তৈমুর হওয়ার পর শরীরে জমেছিল মেদ, চেহারা আবারও আগের ছাঁচে ফেরাতে সময় লেগেছিল।
জেহ-র বেলায় কেন তিনি এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা খানিক হলেও অনুমান করা সম্ভব। তখন তিনি লাল সিং চাড্ডা ছবির শুটিং-এ ব্যস্ত। তারই মাঝে মা হওয়ার খবর আসে। যার ফলে শুটিং-এ কন্টিনিউটি ব্রেক হয়। বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয় আমির খানকে। এমন কি প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আমির খানকে নাকি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর আগে জানাননি করিনা কাপুর। এরপর থেকেই ভাইরাল হতে থাকে সম্পূর্ণ ঘটনা। যা নিয়ে বারে বারে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় করিনা কাপুরকে। যদিও মাঝে লকডাউন বেশ কিছুটা রক্ষা করে পাতৌদি পুত্রবধূকে। তার জেরে শুটিং থাকে বন্ধ, এরই মাঝে জন্ম হয় জেহর।