চাপের মুখে পড়ে ইস্তফা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছেড়েছেন দেশ, বাংলাদেশ এখন সেনার দখলে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গড়ছে সেনা। উত্তাল বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কবে? শান্তি ফেরার আশায় একের পর এক বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনই পরিস্থিতিতে আর চুপ থাকতে পারলেন না টলিপাড়ার সুপারস্টার জিৎ। যদিও নিজের ছবির বিষয় ছাড়া অন্য কোনও প্রসঙ্গে খুব একটা কথা বলতে শোনা যায় না তাঁকে। প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তিতে মাঝে মধ্যে তিনি মুখ খললেও তা প্রায় বিরল ঘটনা। তবে ৫ অগাস্ট ২০২৪-এ আর নিরবতা বজায় রাখলেন না অভিনেতা। টলিউডের আর্টিস্ট ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি জিৎ এবার বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে হলেন সরব।
টলিউড বাংলাদেশের শিল্পীমহলের বরাবরই যোগসূত্র গভীর। দুই দেশের শিল্পীরা একযোগে ছবি করেছেন বহু, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও প্রচুর। ফলে প্রতিবেশী দেশের এই ভয়াল পরিস্থিতিতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভারতের সিনেপাড়ার শিল্পীদের কপালেও। বাংলাদেশের কোটা আন্দোলন দিনে দিনে যে রূপ নিয়েছে, তা কোথাও গিয়ে যেন বিচলিত করেছিল সকলকেই। এবার বাংলাদেশের সরকার পতন। দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা। আর প্রতিবেশী দেশের সেই চরম পরিস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জিৎ। দুই দেশের যৌথ প্রযোজনায় বেশ কয়েকটি ছবি করেছেন জিৎ। দুই দেশেই তাঁর ভক্তের সংখ্যা বিপুল। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জানালেন, ‘প্রতিটা জীবনই মূল্যবান তাই যে কোনও মূল্যে সেটা রক্ষা হওয়া আবশ্যিক’।
বাংলাদেশের এই কঠিন সময়ে আমার প্রার্থনা বাংলাদেশের মানুষদের জন্য। যে সমস্ত ঘটনা সামনে আসছে সেটা খুবই দুঃখজনক। এই ধরনের মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী হওয়া হৃদয়বিদারক।
আশা করি এই কঠিন সময় খুব তাড়াতাড়ি পেরিয়ে যাবো। প্রতিটা জীবনই মূল্যবান তাই যে কোনও মূল্যে সেটা রক্ষা হওয়া…
— Jeet (@jeet30) August 5, 2024
সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘বাংলাদেশের এই কঠিন সময়ে আমার প্রার্থনা বাংলাদেশের মানুষদের জন্য। যে সমস্ত ঘটনা সামনে আসছে সেটা খুবই দুঃখজনক। এই ধরনের মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী হওয়া হৃদয়বিদারক’। তিনি আরও লেখেন, ‘আশা করি এই কঠিন সময় খুব তাড়াতাড়ি পেরিয়ে যাব। প্রতিটা জীবনই মূল্যবান তাই যে কোনও মূল্যে সেটা রক্ষা হওয়া আবশ্যিক। শান্তি বজায় থাকুক’।