নৃশংস ঘটনা। ‘লজ্জা। লজ্জা’। গত কয়েকদিনে পাল্টে গিয়েছে শহর কলকাতার চেনা ছবি। খাস কলকাতার বুকে ঘটে যেতে পারে এমন ঘটনা, তা ভেবেই যেন শিউরে উঠছেন সকলে। হাসপাতালে ডাক্তারী পড়ুয়াই নিরাপদ নয়? তিলোত্তমার এ কোন ভয়ানক পরিণতি? ‘কোথায় সিসিটিভি?’ ‘কীভাবে কেউ আঁচ পেলেন না!’ ‘কেন তাঁকে নিয়ে এত রিপোর্টে এত মিথ্যাচার?’ ‘আত্মহত্যা বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টাই বা কেন?’ গত কয়েকদিনে এই প্রশ্ন করতে করতে ক্লান্ত গোটা শহর, গোটা দেশ। ‘দোষীর শাস্তি হবে তো!’ সোশ্যাল মিডিয়া বিপ্লব থেকে মোমবাতি মিছিল, ডাক্তারী পড়ুয়াদের কর্ম বিরতি থেকে প্রতিবাদ, আর্তনাদ, ‘বিচার চাই-বিচার চাই’। সেই চিৎকারে গলা ফাটাচ্ছেন সকলেই। তাই চুপ থাকলেন না অভিনেতা জিৎও। স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগের দিন একগুচ্ছ প্রশ্ন তুললেন সুপারস্টার।
কলঙ্কিত আরজি কর হাসপাতাল। সেমিনার রুমে ঘুমতে যাওয়াই হল কাল? তারপর…, সারা রাতের নারকীয় ঘটনা অন্ধকারেই হারিয়ে যাবে না তো! তাই বিচার চাইছে সকলে। ‘তিলোত্তমা’র পরিবারের পাশে গোটা শহর, তিলোত্তমার বিচার চেয়ে রাজপথে আজ রাত দখলের ডাক। গোটা ভারতের দিকে দিকে মেয়েরা আজ রাত শাসন করবে। তবে এই নারকীয় ঘটনার কোনও ক্ষমা নেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাই সরব হয়ে জিৎ প্রশ্ন তুললেন– “আগামিকালই স্বাধীনতা দিবস। কিন্তু কিছু সময়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, আমরা কি সত্যিই স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি? কেন আজও সমাজে মহিলাদের নিশানা করা হয়? কেন মহিলাদের উপরেই এমন মর্মান্তিক অত্যাচ্যার করা হয় এখনও? এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ বন্ধ করতে সমাজ হিসাবে আমাদের ঠিক কী করা উচিত?”