সইফ আলি খানের বাড়িতে হামলা নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ঝড় বয়ে গিয়েছে বলিউডে। সকলেই খবর শোনা মাত্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। হামলাকারীর উদ্দেশ্য ছিল সইফের থেকে ১ কোটি টাকা আদায় করা, আর সেই সূত্রেই টার্গেট করে অভিনেতার ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরকে। জাহাঙ্গীরকে দেখভাল করেন এলিয়ামা ফিলিপ্স নামক এক নার্স। বিগত চার বছর ধরেই তিনি খান পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন। তিনিই প্রথম হামলাকারীকে দেখতে পান।
পুলিশি জেরায় তিনি জানিয়েছেন, রাত ১১টা নাগাদ তিনি জাহাঙ্গীরকে ঘুম পাড়ান। রাত ২টো সময় হঠাৎ ঘরে আওয়াজ পান। বাইরে থেকে জেহ-র ঘরের বাথরুমের লাইট জ্বলতে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন করিনা কাপুর হয়তো তাঁর ছেলেকে দেখতে এসেছেন। এই ভেবে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু মনে সন্দেহ হতেই তিনি আবার চোখ খোলেন। তখনই দেখতে পান, এক ব্যক্তি বাথরুম থেকে বেরিয়ে জেহ-র ঘরের দিকে যাচ্ছেন!
সঙ্গে সঙ্গে ‘কে কে’ বলে চিৎকার করতেই, ওই ব্যক্তি ইশারা করে বলেন– ‘কেউ যেন টু শব্দ না করেন’। এরপরে জেহ-র উপরে হামলার ভয় দেখিয়ে ১ কোটি টাকা দাবি করে। ওই নার্স হামলাকারীকে বাধা দিতে গেলে, সে তাঁর হাতে ও কবজিতে ছুরি মারে।
তাঁর চিৎকার শুনেই ঘুম ভাঙে সইফের। ছুটে আসেন তিনি, হামলাকারীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। হামলাকারী তখন এলোপাথাড়ি কোপ মারে সইফকে। পালানোর সময় গীতা নামক আরেক পরিচারিকাকেও ছুরির কোপ মারে হামলাকারী। সম্পূর্ণ ঘটনায় ভয় ছড়িয়েছে অনেকেরই মনে। এভাবে হামলার ছক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে একাধিকের মনে। যদিও পুলিশ হামলাকারীকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে। চলছে জেরা।