দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের সঙ্গে দেখা করলেন অভিনেতা এবং মাক্কাল নিধি মাইয়াম দলের প্রধান কমল হাসান। যা আরও একবার উস্কে দিল রজনীকান্তের রাজনীতিতে যোগদানের সম্ভাবনা। যদিও রজনী এবং কমলের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে আজ দু’জনের অন্যান্য নানা বিষয়ে কথা হলেও রাজনীতি সম্পর্কিত কোনও আলোচনা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত তিন-চার মাস ধরে রজনীকান্তের সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে ক্রমশ গাঢ় হচ্ছিল জল্পনা। শোনা যাচ্ছিল, তামিলনাড়ুর আসন্ন নির্বাচনে কমল হাসানের দলের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারেন তিনি। অন্য এক সূত্র বলছিল নিজের দল গঠন করেই নির্বাচনে লড়বেন রজনী। কিন্তু বাধ সাধে তাঁর শরীর।
গত ডিসেম্বরে শুটিং চলাকালীন আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রবীণ ওই অভিনেতা। ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানেই দিন কয়েক কাটিয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর এক লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে ব্যক্ত করেন রজনী। ওই বিবৃতিতে তিনি লেখেন, “নিজের জন্য অন্যকে বলির পাঁঠা বানাতে পারব না। আমি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছি না। এই কথাগুলো লিখতে গিয়ে আমার কত কষ্ট হচ্ছে তা আমিই জানি।” এর পরেও তাঁর আপামর ভক্তকুল এবং রাজনীতির বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর কাছে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদানের অনুরোধ আসতে থাকে। চেন্নাইয়ের ভাল্লুবর কোট্টামে প্রিয় নেতার সিদ্ধান্তকে আরও একবার খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়ে দিনভর অবস্থান বিক্ষোভও করেন রজনী-ফ্যানেরা।
কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে জানুয়ারিতে আর একটি বিবৃতিতে ‘আন্না’ লেখেন, “কেন আমি রাজনীতিতে অংশ নিতে চাইনা, সে বিষয়ে সবিস্তারে এর আগেই আমি জানিয়েছি। সবার কাছে আমার অনুরোধ রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার জন্য আমায় দয়া করে জোর করবেন না। তা আমার জন্য বেদনাদায়ক।” কিন্তু আজ কমল-রজনীর সাক্ষাৎ রাজনৈতিক মহলে ফের গুঞ্জনের সৃষ্টি করেছে। অনেকেরই প্রশ্ন, তবে কি মত বদলালেন রজনীকান্ত?