বলিউডে ঠোঁটকাটা হিসেবে পরিচিত কঙ্গনা রানাওয়াত। তাঁর সোজাসাপটা বক্তব্যের কারণে কম বিতর্ক হয় না। দেশের সবথেকে বড় নিউজ নেটওয়ার্ক TV9 আয়োজন করেছে হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে কনক্লেভের। এই সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে, আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় ছিলেন কঙ্গনা। আর সেখানে এসেই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে রাজনীতি– সোজাসাপটা উত্তর দিলেন কঙ্গনা। কঙ্গনা বললেন, “এই দেশের মানুষ আমায় পাখা দিয়েছে। উত্তর ভারতের মেয়ে হয়ে সব জায়গা থেকে ভালবাসা পেয়েছি। এই দেশও আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি একজন জাতীয়তাবাদী।” কঙ্গনার কথায় চলে আসে সত্যজিৎ রায়ের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “আরআরআর হোক, সত্যজিৎ রায়ের ছবি হোক বা স্লামডগ মিলিয়নেয়ার, রায় বলেছেন, গ্লোবাল হতে হলে প্রথমে লোকাল হতে হবে। আমিও এটা অনেকাংশে বিশ্বাস করি। আমাদের খাঁটি হতে হবে। আমাদের নিজেদের সংস্কৃতির উপর আস্থাবান হতে হবে।” তিনি মনে করেন, যে গল্পগুলো সমাজকে তুলে ধরে, ভারতের শিকড়ের প্রতিফলন ঘটনায় সেই গল্পেই আস্থাবান বাইরের দেশ।
এখানেই শেষ নয়, বিনোদন মাধ্যমের পরিবর্তন নিয়ে কথা বলছেন কঙ্গনা রানাউত। তিনি বলেন, “আজকের দিনে দাঁড়িয়ে নাটকের মঞ্চে কুইন সফল হওয়ার কথা কল্পনাই করা যায় না। বড় বড় ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিও আজ ক্ষতির মুখে পড়ছে। থিয়েটার ব্যবসা ভেন্টিলেটরে চলে গিয়েছে। আমার বাবা আগে টিভি, সিনেমা দেখতেন, এখন ইউটিউব দেখেন।” নিজের সীমা পার করে শিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাই লক্ষ্য তাঁর– জানিয়েছেন এমনটাই। বলেছেন, “শিল্পী হিসাবে আমি নিজের সীমানা পার করতে চাই, কতটা পারফেক্ট কাজ করতে পারি, তা দেখতে চাই আমি। একইসঙ্গে পরিবর্তনেরও অংশ হতে চাই আমি।”
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। মাস কয়েক ধরেই শোনা যাচ্ছিল, প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে অংশ নিতে চলেছেন তিনি। সত্যিই কি তাই? তাঁর সোজাসাপটা উত্তর, “যে কেউ দেশের উন্নয়নের জন্য রাজনীতিতে অংশ নিতে পারেন। আমি সিনেমার সেট থেকেও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লড়েছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর জন্য আমার কোনও টিকিটের প্রয়োজন নেই। আমার মতে, যদি আমি রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চাই, তবে এটাই সঠিক সময়।”