কেরিয়ারের এক্কেবারে শুরুতে মাত্র কয়েকটি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করে ক্ষান্ত হয়েছিলেন বলিউডের প্রাক্তন অভিনেত্রী টুইঙ্কল খান্না। ঘটনাচক্রে তিনি তারকা সন্তানও। সুপারস্টার রাজেশ খান্না এবং প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী ডিম্পল কাপাডিয়ার কন্যা তিনি। অভিনয় ছেড়েছেন। পুরোদস্তুর বই লিখছেন এখন। তিনি আবার অভিনেতা অক্ষয় কুমারের স্ত্রীও। সদ্য ডিগ্রিও পেয়েছেন একটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বলিউড, স্বামী, পিতামাতার পরিচয় থেকে বেরিয়ে লেখিকা হিসেবে নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করেছেন টুইঙ্কল। সেই টুইট একটি ইঙ্গিতবাহী পোস্ট। সেখানে প্রথমে নিজের নাম লিখে কেটে দিয়েছেন। তারপর তার তলায় লিখেছেন, ‘Kumar’s + 1’। নিজের নাম কেটে দেওয়ার অর্থ ঠিক কি? তাই নিয়ে নেটমহলে নানা মুনি নানা মতামত প্রকাশ করছেন। একজন মহিলা হয়ে নিজের পরিচয়ের উপর দিয়ে পেন চালিয়ে দেওয়াকে টুইঙ্কলের নিস্তব্ধ বিপ্লবও বলছেন কেউ-কেউ।
সম্প্রতি গুজরাটের জামনগরে আয়োজিত অনন্ত অম্বানী এবং রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের প্রাক অনুষ্ঠানগুলি সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে বলিউডের অনেকেই আমন্ত্রিত ছিলেন। সেই প্রাক বিয়ে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্রে কি কোনওভাবে টুইঙ্কলের নাম না নিয়ে, কেবল স্বামী অক্ষয়ের নাম উল্লেখ করে তাঁকে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আন্দাজ করে এক নেটিজ়েন লিখেছেন, “এভাবেই কি অম্বানীরা তোমাকে সম্বোধন করেছেন।” টুইঙ্কল কি স্বামী অক্ষয় কুমারের পরিচয়ে পরিচিত হতে চাইছেন না আর। এমন অনুমানও করে ফেলেছেন অনেকেই।
বিষয়টি যে কী তা জানেন একমাত্র টুইঙ্কলই। তিনি সেই সাফাইও দিয়েছেন তাঁর পরবর্তী পোস্টে। একটি ভিডিয়ো আপলোড করেছেন টুইঙ্কল। পুরুষদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পলিসিগুলিতে এভাবেই পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় নারীদের। টুইঙ্কল সেই ভিডিয়োতে পরিষ্কার করে জিজ্ঞেস করেছেন, “এই প্লাস পরিচয়টাই যদি মহিলাদের একমাত্র পরিচয় হত, কোনও নাম না নেওয়া হত, কেমন লাগত?” আসলে বিষয়টি নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা পলিসির একটি বিজ্ঞাপন ছাড়া কিছুই নয়।