দেখতে দেখতে আরও একটা বছর শেষের পথে। ইতিমধ্যেই শুরু বছর শেষের কাউন্ট ডাউন। সেরা ছবি থেকে সেরা গসিপ, বিনোদন দুনিয়ায় কে কাকে গোল দিয়ে এগিয়ে গেলেন, সব হিসেবই আরও একবার ছকে নেওয়ার পালা। চলতি বছরে বহু তারকা জড়িয়েছেন নানা বিতর্কে। এই বছরে শিরোনামে রইলেন কারা? কেউ বিয়ে করে বিতর্কে জড়িয়েছেন। কারও ডিভোর্সের বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক, শ্রীময়ী চট্টরাজ থেকে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত,যিশু-নীলাঞ্জনা। ফিরে দেখা যাক সেই তালিকা
কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ে বিতর্ক
২০২৪ সালের প্রথমে স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হয় কাঞ্চন মল্লিকের। তার কয়েক দিন কাটতে না কাটতেই শ্রীময়ী চট্টোরাজকে বিয়ে করেন অভিনেতা তথা বিধায়ক। তার পর কম বিতর্ক হয়নি। কারণ এর আগে পর্যন্ত নিজেদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে কখনও স্বীকার করেননি তাঁরা। তাই তাঁদের বিয়ের রেজিস্ট্রির ছবি প্রকাশ্যে আসার পর নেতিবাচক মন্তব্যে ভরে যায় সমাজমাধ্যমের পাতা। তবে কারও কথায়ই গুরুত্ব দেননি তাঁরা। তার পর সেই আলোচনা আরও বড় রূপ নেয়। কারণ, তাঁদের রিসেপশনের ভেনুতে বাইরে লেখা হয়েছিল “পোষ্য এবং মিডিয়ার প্রবেশ নিষেধ।” তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে ভিডিয়ো করে ক্ষমাও চেয়েছিলেন অভিনেতা।
ঋতুপর্ণার শাঁখ বাজানোর বিতর্ক
অগস্টের প্রথম সপ্তাহেই আরজি করেই সেই নৃশংস ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা শহর। তিলোত্তমা কাণ্ডের বিচার চেয়েই স্বর তুলেছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। নিজের সিঙ্গাপুরের বাড়ি থেকে শাঁখ বাজিয়ে প্রতিবাদ জানান নায়িকা। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই চারিদিকে হাসির রোল ওঠে। নায়িকাকে তির্যক মন্তব্যে ভরান কটাক্ষকারীরা। শুধু তাই নয় প্রতিবাদে শামিল থাকতে আরজি করে গিয়েও হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে।
কাঞ্চনের মেয়ে হওয়ার বিতর্ক
নভেম্বরে মেয়ে হয়েছে কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টোরাজের। মার্চে বিয়ে। নভেম্বরে মেয়ের জন্ম। অনেকেই বলেছিলেন বিয়ের আগেই হয়তো সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েছিলেন শ্রীময়ী। যদিও এ সবে কোনও গুরুত্ব দেননি তাঁরা। তবে বিতর্ক এড়ানোর জন্যই মেয়ে হওয়ার আগে পর্যন্ত খবরটা আড়ালেই রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু মেয়ে হওয়ার পরেও কাঞ্চনের আগের পক্ষের সন্তানকে টেনে বিস্তর বিতর্ক হয়।
মমতা শঙ্কর শাড়ির আঁচল বিতর্ক
চলতি বছরে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন মমতাশঙ্কর। বর্তমান প্রজন্মের শাড়ি পরার ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। যা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়। সমাজমাধ্যমের পাতা দু’ভাগে ভাগ বিভক্ত হয়। একাংশ মমতা শঙ্করের দাবির হয়ে আওয়াজ তুলেছিল। আবার একাংশ তাঁর মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কেউ কেউ আবার বলেন খুবই নিম্নস্তরের ভাবনা তাঁর। তার পরেও অবশ্য তিনি নিজের দাবিতে অনড় ছিলেন।
যিশু-নীলাঞ্জনা ডিভোর্স বিতর্ক
একটা সময় তাঁদের টলিপাড়ার ‘আইডিয়াল কাপল’ বলা হত। কিন্তু চলতি বছরের মাঝে আচমকাই শোনা যায় যে তাঁদের সংসার নাকি ভাঙছে। অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত এবং নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তকে নিয়ে এই আলোচনাই শুরু হয়েছে। যেদিন ইনস্টাগ্রামের পাতায় দেখা যায় নীলাঞ্জনা তাঁর নাম থেকে মুছে ফেলেন সেনগুপ্ত পদবী। তার পর থেকে তাঁদের সংসার ভাঙা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক চলছে। যদিও এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি তাঁদের কেউ।
গৌতম হালদার কবিতা বিতর্ক
কয়েক দিন আগেই একটি পারফরম্যান্সকে কেন্দ্র করে বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়তে হয় গৌতম হালদারকে।’সারেগামপা’-এর মঞ্চে জয় গোস্বামীর জনপ্রিয় কবিতা ‘বেণীমাধব’মঞ্চস্থ করেন তিনি। ব্যস সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্য়ে আসার পরেই ধেয়ে আসে একের পর এক সমালোচনা। এক ব্যক্তি এই পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, ‘কতদিন ভেবেছি মিট্টি এক প্রেয়সী ছেড়ে বেণীমাধব ফুলপঞ্জিকা লিখলেন কেন? কাল বুঝলাম, ভাঁড়ামোরও একটা লিমিট থাকা উচিত। বন্ধ করুন বেণীমাধব নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট।’ যদিও কারও কোনও মন্তব্য নিয়ে বিচলিত হননি গৌতম হালদার।