মধুমিতা সরকার সিঙ্গল নাকি প্রেম করছেন? টলিটাউনের অন্দরের এখন অন্যতম জনপ্রিয় গুঞ্জন। ভক্ত থেকে সহঅভিনেতা– মধুমিতাকে নিয়ে এখন ‘নানা মুনির নানা মত’। কেউ বলছেন তিনি সিঙ্গল আবার কেউ বা বলছেন ইন্ডাস্ট্রির এক জনপ্রিয় সহঅভিনেতা যিনি আবার সদ্য রাজনীতিতেও যোগদান করেছেন তাঁর সঙ্গেই নাকি প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন তিনি। আর মধুমিতা? তিনি কী বলছেন?
গতকাল অর্থাৎ রবিবার ছিল প্রেমদিবস। শহর সেজেছিল ভালবাসার গন্ধে। রাস্তাঘাটে যুগলের হাতে হাত, রেস্তরাঁয় উপচে ভড়া ভিড় ভয় পায়নি করোনাকেও। সেলেব থেকে সাধারণ– সোশ্যাল মিডিয়ায় জাহির করেছিলেন তাঁদের ভালবাসার মানুষের সঙ্গে কাটানো প্রেমের রঙিন উদযাপন। সবাই যখন মজেছিল ভালবাসায় ইনস্টাগ্রামে পুরদস্তুর নো মেক আপ লুকে লাইভে এসেছিলেন মধুমিতা। তাঁর প্রথম ইনস্টা লাইভ। লাইভে এসেই তাঁর সহজ স্বীকারোক্তি, “প্রথম বার ইনস্টা লাইভ এসেছি। জানি না কী ভাবে কাজ করে। বুঝতেও পারছি না কখন থেকে সবাইকে দেখতে পারব। ” এর পরেই মধুমিতা যোগ করেন, ” অনেক দিন ধরেই সবাই বলছিলে লাইভে আসতে। আজ এসে গেলাম। ভ্যালেন্টাইনস ডে’র থেকে আমার জীবনে অকাজের দিন কী হতে পারে?
ভক্তদের সঙ্গে লাইভ চ্যাট সেশন করছিলেন মধুমিতা। সেখানেও তাঁর ‘সিঙ্গলহুড’কে জোর দিয়ে অভিনেত্রীর মন্তব্য, “এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র দিন যারা যারা আমার মতো সিঙ্গল রয়েছে, বাড়িতে বসে রয়েছ তাঁরা বরং আমার সঙ্গেই আড্ডা দাও”। শুরু হল অভিনেত্রী এবং তাঁর ভক্তদের প্রশ্ন-উত্তরের পর্ব। কেউ বললেন, তিনি মোটা হয়ে গিয়েছেন কেউ আবার বললেন রোগা হয়ে গাল শুকিয়ে গিয়েছে তাঁর। এক ভক্ত তাঁর চোখ একটু বেশি বড় লাগছে বলায় কপট রাগ দেখিয়ে অভিনেত্রীর উত্তর, “এই আমি কিন্তু কোনও ফিল্টার ব্যবহার করিনি। চোখ আমার এমনিতেই একটু বড়”।
এ সবের মধ্যেই এক ভক্ত তাঁকে সেই অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করে বসায় মধুমিতার উত্তর, “আমি নিজেই অবাক। শকড। আমার লাইফের থেকে রিউমারগুলো তো বেশি হ্যাপেনিং। মানুষের লাইফ যদি এত স্পাইসি হয় তা হলে তো ভালই হবে।” এইটুকু উত্তর দিয়ে পরবর্তী প্রশ্নে চলে যান মধুমিতা।
কথায় বলে ‘যা রটে তা ঘটে’। মধুমিতা মানতে না চাইলেও মধুমিতা ঘনিষ্ঠ এক অভিনেত্রীর বক্তব্য, “চিনি ছবি থেকেই ওদের (মধুমিতা এবং সেই অভিনেতার) একটা অ্যাটাচমেন্ট তৈরি হয়েছে। যদিও এটা সাময়িক বলেই মনে হচ্ছে। বলা যায় না। কার কোথায় মজে মন…”।