তাঁর জীবনের সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা একটি অ্যাক্সিডেন্ট। গাড়ির দুর্ঘটনায় মুখে আঘাতের ক্ষতচিহ্নে ভরে যায় অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরির। আঘাতের কারণে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাওয়া চেহারায় মহিমা ভেবেছিলেন বলিউড থেকে চিরতরের বিদায় নিতে হবে। তবে, সে সময়ে তাঁর সহশিল্পী অজয় দেবগন তাঁকে সেই পরিস্তিতি থেকে উদ্ধার করতে ছুটে আসেন। সেরা চিকিৎসার পরিষেবা যেন অভিনেত্রী পান, তা নিশ্চিত করেছিলেন অজয়। তবে অজয়ের এই ‘মানবিক আচরণ’কে দূরে রেখে জল্পনা ওঠে যে অজয়-মহিমা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন।
মহিমা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “অজয় দেবগন এবং কাজল, যাঁরা তখন আমার প্রযোজক ছিলেন, তাঁরা দেখেছিলেন যে ইন্ডাস্ট্রির কেউই এটির (দুর্ঘটনা) সম্পর্কে জানতে পারে না। আমার কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে যেত। আমার মনে হচ্ছিল আমি আর ফিরব না। তবে অজয় বলেছিল, ‘আমি এই জাতীয় ক্ষত পেয়েছি’, এবং আমি বুঝছিলাম যে ও চায় না আমি হেরে যাই। ও-ই ঠিক ছিল। অজয় খুব-খুব উদার মনের প্রযোজক। ও সমস্ত কিছুর দেখাশোনা করেছিল। ভাল ডাক্তারদের কাছে পাঠানো, সু-চিকিৎসার পরিষেবা পেয়েছি। আমি ও মা মু্ম্বইতে একেবারে নতুন ছিলাম। আর ও বলেছিল, ‘না তুমি ব্যাঙ্গালুরুতে এই চিকিৎসা করবে না, আমি তোমাকে মুম্বইতে নিয়ে যাচ্ছি এবং তোমাকে সেরার কাছেই পাঠাব।’ ওর ম্যানেজার সারাক্ষণ আমাদের সঙ্গে ছিল এবং আমাদের দেখাশোনা করেছিল। অন্য প্রযোজকরা আমাদেরকে ঘিরে ধরেছিল কারণ আমার কতটা ক্ষতি হয়েছে, সে বিষয়ে তারা পরিষ্কার ছিল না।”
আরও পড়ুন মেডিক্যাল কলেজে ‘কলেজ সিনিয়র’ হয়ে ঢুকলেন রাকুল প্রীত
তিনি আরও জানান, অ্যাক্সিডেন্টের পর ধীরে ধীরে শুটিংয়ে ফেরেন। একটি শুটিংয়ে তিনি পরিচালককে বলেন শুধু লং শট নিতে কারণ তাঁর মুখের দাগ তখনও স্পষ্ট ছিল। তবে ক্যামেরা চালু হতে খুব ক্লোজ শট নিতে শুরু করেন পরিচালক। অজয় আমার অস্বস্তি বুঝতে পেরে জিজ্ঞেস করে যে, “তুমি প্রস্তুত নও?” আমি বলি না। তারপর ও সবাইকে বলে যে আমাকে ছেড়ে দিতে। তিনি পরিচালককে বলে, দুর্ঘটনা থেকে মহিমা আস্তে আস্তে বেরচ্ছে, অপেক্ষা করতে কোনও অসুবিধে নেই। তারপর পরিচালক শুটিং বন্ধ করে দেন।
মহিমা আরও বলেন, “আমার মনে আছে তার পরে, পরিচালক গিয়ে সবাইকে বলেছিলেন যে অজয় দেবগন আমার প্রেমে পড়েছেন এবং ম্যাগাজিনে গুজব ছড়িয়েছিল যে আমি অজয় দেবগনকে ডেট করছি। এটি আমাকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছিল।”