নিউ আলিপুরে আজও ঐতিহ্য মাথায় করে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাড়িটা। ওই বাড়িতেই থাকেন কিংবদন্তী নায়িকা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। শরীরটা বিশেষ ভাল নেই তাঁর। পড়ে গিয়ে পায়ে চোট লেগেছে। শুটেও যোগ দিতে পারেননি তিনি। তবে অভিনেত্রী আশাবাদী, খুব শীঘ্রই শুটে যোফ দেবেন তিনি। বয়স ৮০ ছাড়ালেও আজও অভিনয়ই তাঁর মন প্রাণ ধ্যান। তবে সে দিনের সেই প্রস্তাব গ্রহণ করলে হয়তো আজ অভিনেত্রীর পাশাপাশি আরও এক পেশার তাঁর মুকুটে যোগ হত। কে বলতে পারত ভোটে জিতে তিনি হয়ে যেতে পারতেন পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ!
বেশ কিছু বছর আগেকার কথা। সে সময় তৃণমূল সরকার এ রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে। সাবিত্রীর কথায়, সে সময় মুখ্যমন্ত্রীর তরফে তাঁর কাছে ভোটে দাঁড়ানোর প্রস্তাব আসে। যদিও সেই প্রস্তাবে তিনি না করে দেন। তাঁর কথায়, “আমি তো রাজনীতির কিছু জানিই না। যেটা জানি না, সে কাজটা কী ভাবে করি বলুন!” যা করেছেন তাতেই সোনা ফলিয়েছেন সাবিত্রী। তাই যা করেননি কোনওদিন শেষ বয়সে তা নিয়ে চ্যালেঞ্জ নিতে একেবারেই চাননি তিনি। সেই কারণই জানিয়েই সরে যান সাবিত্রী। তবে সবাই যে সাবিত্রীর পন্থা অবলম্বন করতে পেরেছিলেন এমনটা কিন্তু নয়। বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী, গায়কই মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে আজ বড় পদে আসিন। কেউ হয়েছেন সাংসদ, আবার কেউ বা বিধায়ক। সাবিত্রী সেই পথে চালিত না হয়ে অভিনয় নিয়েই বাঁচতে চেয়েছিলেন।
দুঃসহ সংগ্রাম করেছেন ছোট থেকেই। ওপার বাংলার মেয়ে। কপর্দক শূন্য হয় এ দেশে আসেন। অভাবের সংসার। বাড়িতেও লোকসংখ্যা নেহাত কম নয়। তাও সংসারের হাল ধরেন ছোট থেকেই। অসামান্য অভিনয়ের মাধ্যমে লোকের মন জয় করেছেন আজও করেন যাচ্ছেন একই ভাবে।