মুম্বই: আরব সাগরে প্রমোদ তরণীতে মাদক কাণ্ডের তদন্ত প্রতিদিন নিত্যনতুন মোড় নিচ্ছে। ঘটনার আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করতে চাইছেন নারকোটিকস বিউরোর আধিকারিকরা। কর্ডেলিয়া প্রমোদ তরণীতে হাই প্রোফাইল মাদক মামলায় জড়িত সন্দেহে গতকালই এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার চার অভুযুক্তকে গ্রেফতার করেছিলেন এনসিবির আধিকারিকরা। আজ ধৃতদের ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবির হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে মুম্বই আদালত।
গোপাল জি আনন্দ, সমীর শেহগাল, মানব সিংঘাল এবং ভাস্কর অরোরা। এক নামী ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার সঙ্গে যুক্ত এই চার ব্যক্তিকে গতকালই গ্রেফতার করেছিলেন নারকোটিকস বিউরোর আধিকারিকরা। এনসিবির সন্দেহ, কর্ডেলিয়া মাদক কাণ্ডের সঙ্গে ওই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মীরা জড়িত। সেই কারণেই ওই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাদের মুম্বই ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে, বিচারক অভিযুক্তদের ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের এখনও জামিন মেলেনি। তিনিও এখনও পর্যন্ত এনসিবির হেফাজতেই রয়েছেন। আরিয়ানের সঙ্গে ধৃত বাকি দুই অভিযুক্তকেও এনসিবি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এনসিবি সূত্রে খবর, আরিয়ান ও বাকিদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই মাদক চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত তা আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করতে দেখতে চাইছেন এনসিবির আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, গতকাল আরিয়ান সহ মোট তিন জনকে আরও তিন দিনের এনসিবি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে মুম্বই আদালত। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহরুখ পুত্রের জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী। কিন্তু দীর্ঘ শুনানির পর আদালত জানিয়ে দেয়, যে ধরনের মাদক এনসিবি-র হাতে এসেছে সেই সম্পর্কে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। যে কারণে আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বলি বাদশার ছেলে-সহ তাঁর দুই বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন দধিচাকে এনসিবি রিমান্ডে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত।
বিচারক জানান, গোটা বিষয়টি তদন্ত এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার পাচ্ছে। সেই কারণেই এখনই জামিন দেওয়া সম্ভব না। আরিয়ানের আইনজীবীর পক্ষ থেকে এ দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজত ও জামিনের আর্জি জানানো হয়েছিল। যা খারিজ করে দেয় আদালত।
এনসিবি-র পক্ষ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত আরিয়ানদের রিমান্ডে চাওয়া হয়েছিল। এনসিবি-র কৌঁসুলি এএসজি সিংয়ের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের যোগ থাকার ইঙ্গিত তাঁরা পেয়েছেন। আরিয়ান খান বেশ সাংকেতিক নাম ব্যবহার করে মাদকের টাকা মেটানোর বিষয়ে চ্যাটের মাধ্যমে এনসিবি হদিশ পেয়েছে বলে সিবিআই আইনজীবী বলেন আদালতকে।
এনসিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, আরিয়ানের চশমার বাক্স থেকে মাদক উদ্ধার হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মাদক আইনের ৮সি, ২০বি, ২৭ এবং ৩৫ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই প্রমোদতরণীতে ধরা পড়ার সময় আরিয়ানের কাছে ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ও ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ পিলস ছিল।
আরও পড়ুন : Aryan Khan Drug Case: আদালত কক্ষে এক মহিলার সঙ্গেই ইশারায় কথা বলে গেলেন আরিয়ান, কেঁদে ফেললেন মুনমুন ধামেচা