শরিফুলের সঙ্গে মেলেনি হাতের ছাপ, সইফ-হামলা তদন্তে এবার নয়া মোড়
সইফের ফ্ল্যাটের বাথরুমের কালো দরজা, বেডরুমের স্লাইডিং ডোর এবং আলমারি থেকে সংগৃহীত ফিঙ্গারপ্রিন্টগুলির কোনওটিই শরিফুলের নয়। সিআইডি-র ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যুরোতে পাঠানো ২০টি স্যাম্পলের মধ্যে ১৯টির সঙ্গেই নাকি অমিল।

সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় তদন্তের এবার নতুন মোড় এসেছে। সিআইডি চার্জশিটে স্পষ্ট জানিয়েছে, সাইফের ফ্ল্যাট থেকে সংগৃহীত আঙুলের ছাপগুলির মধ্যে বেশিরভাগই গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত শরিফুল ইসলামের সঙ্গে মেলেনি। ঘটনাস্থলের অর্থাৎ সইফের ফ্ল্যাটের বাথরুমের কালো দরজা, বেডরুমের স্লাইডিং ডোর এবং আলমারি থেকে সংগৃহীত ফিঙ্গারপ্রিন্টগুলির কোনওটিই শরিফুলের নয়। সিআইডি-র ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যুরোতে পাঠানো ২০টি স্যাম্পলের মধ্যে ১৯টির সঙ্গেই নাকি অমিল।
তবে একমাত্র অষ্টম তলা থেকে সংগৃহীত কিছু ফিঙ্গারপ্রিন্ট শরিফুলের সঙ্গে মিলেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। মুম্বই পুলিশ ইতিমধ্যেই ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রায় ১০০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেছে। সেখানে একাধিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, সইফের শরীরে মেরুদণ্ডের কাছে যে ছুরির টুকরো পাওয়া গিয়েছিল, সেটি এবং ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ছুরির অংশ শরিফুলের কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্রের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। এই সূত্র ধরেই পুলিশ আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে, যাতে শরিফুলের জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি সইফ আলি খানের বাড়িতে মাঝ রাতে হামলা চালায় দুষ্কৃতি। ছেলে-পরিবারকে বাঁচাতে সেদিন রাতে বীরের মতো লড়েছিলেন সইফ। শরীরে ঢুকে থাকা ছুরির অংশ নিয়েই রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে পৌঁছিয়ে গিয়েছিলেন সইফ। হয়েছিল অস্ত্রোপচার। বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন তিনি। পরিবারের নিরাপত্তাও বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। যদিও এখনও সঠিক প্রমাণ না পাওয়ায় কারও কোনও শাস্তি হয়নি। যদিও তদন্ত চলছে জোর গতিতে।





