বোর্ডিং থেকে পালাতে চেয়েছিলেন কাজল, কারণ জানলে চমকে উঠবেন
কাজল নিজের কেরিয়ার ও সংসার দুটোই সমানতালে সামলাছেন। তবে ছোট বেলাটা খুব স্বাভাবিক ছিল না তাঁর জন্য। খুব অল্প বয়েসেই বাবা-মাকে আলাদা হতে দেখেছেন, যদিও বাবার পরিবারের সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগ রয়েছে।

হিন্দি ছবিতে নব্বইয়ের দশক থেকে রাজ করছেন অভিনেত্রী কাজল। প্রসিদ্ধ অভিনেত্রী তনুজা ও প্রযোজক-পরিচালক সমু মুখোপাধ্যায়ের কন্যা তিনি। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন নায়িকা। কাজলের নানা জ্যঁরের অভিনয়ে দর্শক মুগ্ধ। কাজল নিজের কেরিয়ার ও সংসার দুটোই সমানতালে সামলাছেন। তবে ছোট বেলাটা খুব স্বাভাবিক ছিল না তাঁর জন্য। খুব অল্প বয়েসেই বাবা-মাকে আলাদা হতে দেখেছেন, যদিও বাবার পরিবারের সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগ রয়েছে।
কাজল নিজেকে মারাঠি ও বাঙালির ককটেল বলেন। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে এসে নিজের ছোটবেলার এক গল্প শেয়ার করলেন দর্শকদের সঙ্গে। কাজল ছোটবেলায় পঞ্চগনির এক বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। সেখানেই একদিন তিনি বোর্ডিং স্কুল থেকে পালিয়ে বম্বে আসার চেষ্টা করেন। কেন পালিয়ে ছিলেন বোর্ডিং স্কুল থেকে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই কাজল বলেন, ” তখন আমার এগারো বছরের মতো বয়স ছিল। হঠাৎই জানতে পারি আমার দিদা সোভনা সামন্তের মা, মানে আমার প্রমাতামহ খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমি মাকে ফোন করে বলি তাঁকে দেখতে যেতে চাই বাড়িতে। মা একদমই রাজি হয়নি, কারণ আমার পড়াশোনা। পরীক্ষা ছিল। ডিসেম্বরের ছুটিতে বাড়ি নিয়ে যাবেন কথা দেন। যদিও আমি বিষয়টা মোটেও মেনে নিইনি। আমার এক সহপাঠী ছিল, সেই সময় কেন ঠিক জানি না, সেও বোর্ডিং থাকতে চাইছিল না। আমরা দুজনে প্ল্যান করলাম, আমরা বোর্ডিং থেকে পালিয়ে বম্বে চলে যাব। সকালে উঠে বোর্ডিং থেকে বেরিয়ে আমার এক মামার কাছে যাই , যিনি আমার লোকাল গার্জেন ছিলেন। আমি তাঁকে বলি মা ফোন করেছিল আমায় বাড়ি যেতে বলেছে। বাসে তুলে দিতে। বেচারা মামা আমার কথা বিশ্বাস করে আমাদের বাসে তুলে দেন। এরপর আমি অপেক্ষা করতে থাকি এই বুঝি বাস ছাড়বে। এমন সময় আমার বোর্ডিং থেকে নান টিচাররা এসে আমাদের কান ধরে বোর্ডিং ফিরিয়ে নিয়ে যায়। মাকে খবর দেওয়া হয়, মা শ্যুট ছেড়ে বোর্ডিং আসে। এরপর আমি এত বকাঝকা খেয়েছিলাম, যে আর আমার মাথায় পালানোর চিন্তা আসেনি।”
