পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, কেরিয়ার শুরু করেছিলেন জুনিয়ার আর্টিস্ট হিসেবেই। তবে লক্ষ্য ছিল বড়। মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তিনি। শুরুটা আর পাঁচজনের মতোই ছিল। সাধারণত একটি বাড়িতে একসঙ্গে অনেকে থাকা। সেখান থেকেই নানা আলাপ-আলোচনা, স্বপ্ন দেখা ও নিত্যদিন কাজের খোঁজে সকাল-সকাল বেরিয়ে পড়া। শুরুর দিকে এটাই ছিল পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর রুটিন। তাঁর সঙ্গে কখনও-কখনও থাকতেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষও। তাঁদের মধ্যে বেশ সুন্দর মিষ্টি সম্পর্কই ছিল। তবে কী এমন করেন রুদ্রনীল যার জন্য রাতারাতি বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল রাজ চক্রবর্তীকে? জি বাংলার টক শো অপুর সংসার-এ এসে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন পরিচালক। শো সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে রহস্য ফাঁস করেছিলেন রাজ।
রাজের কথায়, তিনি বরাবরই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তেন। অন্তত ১০টার মধ্যে। কিন্তু বাকিরা জেগে থাকতেন। কারও কারও ফিরতেও রাত হতো। একদিন নিয়মমাফিক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন রাজ চক্রবর্তী। সেদিন রাতে ঘটে এক অদ্ভুত ঘটনা। রাতে ফিরছিলেন রুদ্রনীল। তাঁদের পাড়ায় বহু কুকুরের বাস, তারা যাতে তাড়া না করে, সেই কারণে হাতে বিস্কুট নিয়ে ফিরতেন রুদ্রনীল। সেদিন রাতে একটি কুকুরকে বিস্কুট দিতে দিতে বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে এসেছিলেন রুদ্রনীল। তারপর…!
শেষ বিস্কুটটা রেখেছিলেন রুদ্রনীল রাজ চক্রবর্তীর বুকের ওপর। হঠাৎ রাজের ঘুম ভাঙে। চোখ খুলেই তিনি দেখেন, কে যেন তাঁর বুকের ওপর চাটছে। আচমকাই ঘুম ভেঙে চমকে ওঠেন তিনি। তখন বাইরে থেকে ছিল ঘরের দরজা বন্ধ। তিনি লাফিয়ে ওঠেন। সঙ্গে কুকুরটিও ভয়ে লাফাতে শুরু করে। কেউ-ই ঘর থেকে বেরতে পারছিলেন না। এই মজা সেদিন রাতে নিতে পারেননি রাজ। স্থির করেছিলেন তিনি পরদিন সকালেই বাড়ি ছাড়বেন। আর ঠিক তাই করেছিলেন। যদিও সেই অভিমান একটা সময়ের পর আবার ঠিকও হয়ে যায় বলেই জানান পরিচালক।