‘কফি উইথ করণ’-এর সপ্তম সিজ়ন আসতে চলেছে। তবে টিভির পর্দায় নয়। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সেই সিজ়নের প্রথম এপিসোডের অতিথি আলিয়া ভাট ও রণবীর সিং। প্রথমে গুঞ্জন ছিল আলিয়ার সঙ্গে তাঁর স্বামী অভিনেতা রণবীর কাপুর আসবেন শোতে। কিন্তু সে সব আর হয়নি। আলিয়া মা হতে চলেছেন। রণবীর সিংয়ের সঙ্গে করণ জোহরেরই পরিচালনায় তৈরি ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ‘কফি উইথ করণ’ শুরুর আগে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন করণ। কী বলেছেন পরিচালক-প্রযোজক-সঞ্চালক?
ই-টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের কিছু টুকরো অংশ:
করণের পরিবর্তে ‘কফি উইথ করণ’ যদি অন্য কাউকে হোস্ট (পড়ুন সঞ্চালনা) করতে দেওয়া হয়, তিনি কাকে চাইবেন সেই জায়গায়?
রণবীর সিং। ও দারুণ ভাল কথা বলে। হোস্ট হিসেবেও খুব ভাল। আমার মনে হয় ওর ব্যক্তিত্ব রয়েছে। সেন্স অফ হিউমার খুব ভাল ওর। আমার মনে হয় রণবীর এই কাজটা ভালই করবে।
শোয়ে অতিথিদের উত্তর শুনে কখনও কথা হারিয়ে ফেলেছেন করণ জোহর?
আমার মনে আছে যখন রাখি সাওয়ান্ত এই শো-তে এসেছিলেন। একের পর-এক বাক্য বলে যাচ্ছিলেন তিনি। আমার অবস্থা তখন, ‘ও মাই গড! তিনি অসামান্য।’ আমার মনে আছে ওর সেই বাক্য, ‘যা ভগবান দেন না, ডাক্তার দিয়ে দেন’। কেবল এটা নয়। শোয়ে ইমরান হাশমির ব়্যাপিড ফায়ার আমার মনে আছে ভাল মতো। ৭টি সিজ়নের মধ্যে সেটিই ছিল সবচেয়ে সৎ ব়্যাপিড ফায়ার। আসলে মানুষটাই সে রকম।
‘যুগ যুগ জিও’র সাক্ষাৎকার চলাকালীন জানা গিয়েছিল নিতু কাপুরকে করণই সিনেমায় কাজ করার উৎসাহ দিয়েছিলেন?
আমি নিতুজিকে ভালবাসি। নিতুজি ও ঋষিজিকে ভালবেসেই আমি বড় হয়েছি। আমার চোখে তাঁরাই সোল কাপল। ওঁদের দেখে খুশি হতাম। ওঁদের ছবি দেখে আমি কাঁদতামও। নিতুজি-ঋষিজির প্রিভিউ শোয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাবা-মায়ের কাছে বায়না করতাম আমি। ঋষিজির মৃত্যুর পর আমি নিতুজির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম তাঁর বাড়িতে। ‘যুগ যুগ জিও’ তৈরি হচ্ছিল সে সময়। তখনই নিতুজিকে আমি বলেছিলাম, “আপনার কাজে ফেরা উচিত। আমার কাছে একটি ছবি আছে। সেখানে আমি চাই আপনি থাকুন।” নিতুজি জানিয়েছিলেন, কাজে ফেরার জন্য তিনি নিশ্চিত ছিলেন কি না, তা তিনি জানেন না। কিন্তু আমি তাঁকে রাজি করাতে পেরেছিলাম। তাঁকে স্বামী হারানোর সেই বেদনা থেকে বের করতে চেয়েছিলাম মাত্র।
অনেক আগেই করণ জানিয়েছিলেন, তিনি আলিয়া ভাটকে নিজের কন্যার মতো দেখেন। তিনি মা হতে চলেছেন। প্রথমবার সুখবর শুনে কী প্রতিক্রিয়া ছিল করণের?
আমি কেঁদেছিলাম। আলিয়া আমার অফিসে এসেছিল। আমার মনে আছে, সেদিন আমার ব্যাড হেয়ার ডে ছিল। আমি টুপি পরেছিলাম। আমাকে সুখবরটি জানিয়েছিল আলিয়া। তৎক্ষণাৎ আমার চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ে। আমাকে এসে জড়িয়ে ধরেছিল আলিয়া। মুহূর্তটি আমার কাছে আবেগপ্রবণ ছিল। এখনও বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে যাচ্ছি। ছোট্ট একটি মেয়ে থেকে আলিয়াকে আমি দুর্দান্ত শিল্পীতে পরিণত হতে দেখেছি। আলিয়া আমার গর্ব। আলিয়াই আমাকে পিতৃত্বের স্বাদ দিয়েছিল প্রথমবার। মাত্র ১৭ বছর বয়সে আমার অফিসে এসেছিল মেয়েটা। আজ ২৯ বছর বয়স। ১২ বছর আমাদের কাছে জাদুর মতো। আমাদের ম্যাজিক্যাল বন্ড। আলিয়ার বাচ্চাকে কোলে নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছি। আমি জানি, সেটাও আমার কাছে খুব স্পেশ্যাল মুহূর্ত হয়ে উঠবে। সে রকমই স্পেশ্যাল মুহূর্তে আমার নিজের সন্তানদের জড়িয়ে ধরলে হয়।