করণ জোহরের হাত ধরে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবি দিয়ে জীবনের সবচেয়ে বড় ব্রেক পেয়েছিলেন রানি মুখোপাধ্যায়। সেই থেকে দু’জনের মধ্যে ভাল সম্পর্ক। করণের সঙ্গে বন্ধুত্বের কারণেই ‘কভি খুশি কভি গম’ ছবিতে তিনি ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয়ও করতে রাজি হন। সেই বন্ধুত্বের সূত্রেই রানি আশা করেছিলেন করণ তাঁর পরবর্তী ছবির সময় তাঁর কথা ভাববেন, অন্তত তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করবেন ছবির চরিত্র নিয়ে। কিন্তু নিখিল আডবাণী পরিচালিত ‘কাল হো না হো’ ছবিতে তাঁকে না নিয়ে প্রীতি জিন্টাকে নেওয়ায় খুব ভাল ভাবে নেননি রানি। এই দুঃখ তিনি ভাগ করতে যান আমির খানের কাছে। এক সময় আমির-রানির প্রেমের গুঞ্জনও ছিল বি-টাউনে। তাঁদের বন্ধুত্বও খুব ভাল। সেই কারণেই হতাশ রানি যান আমিরের কাছে সাত্বনা পেতে।
২০০৪ সালে করণ জোহরের টক শো কফি উইথ করণে এসেছিলেন রানি। সেই সময় রানি পুরনো সেই প্রসঙ্গ তোলেন। করণের শোতেই তাঁকে সেই সময়ের হতাশার কথা জানান রানি। ‘কাল হো না হো’ ছবিতে নয়না চরিত্রে কাস্ট করা দূর, তাঁর সঙ্গে একবার আলোচনা করার প্রয়োজনও মনে করেননি করণ। তিনি বলেছিলেন, “সত্যি বলতে, আমি যখন তোমার কাছ থেকে না শুনে অন্য কারও থেকে শুনেছিলাম, বিষয়টা আমায় খুব আঘাত করেছিল। আমি জানতাম, আমি তোমার খুব কাছের, এমনকি যদি তুমি কোনও ছবি করো, তা নিয়ে সবসময় আমার সঙ্গে আলোচনা করবে। কাকে ছবিতে কাস্ট করছো, সেটা বড় ব্যাপার নয়, তুমি আমার সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে কথা বলবে, সেটাই ভরসা ছিল। কিন্তু তারপরে তুমি যখন আমার কাছে এলে না আর ছবি সম্পর্কে আমার সঙ্গে কথাও বললেও না, আর আমাকে অন্য কারো কাছ থেকে সেটা শুনতে হল, তখন আমার শুধু মনে হয়েছিল, ‘কেন করণ এসে আমাকে বলেনি”?
রানি আরও যোগ করেছিলেন, করণের সঙ্গে তাঁর এমনই সম্পর্ক যেখানে তাঁর এই খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক। তিনি বলেন, “আমার এখনও মনে আছে, আমি আমিরের সামনে গিয়ে কেঁদেছিলাম, যেটা তুমি জানো না, আমি এখন তোমাকে তোমার শোতেই বলছি।” করণ স্পষ্টতই এটি জানতেন না এবং তিনি বলেছিলেন, “আমি জানতাম না যে আমিরের কাঁধকে তুমি বেছেছিলেন কান্নার জন্য।” করণের কথা শুনে রানির মন্তব্য, বিষয়টা কান্নাকাটির নয়, প্রীতি চরিত্রটা পেয়েছিল তাতে তিনি খুশিই হয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর খারাপ লেগেছিল, করণ নিজে জানাননি। অন্য কেউ সেই খবর তাঁকে দেন। রানির মতে তিনি সেই সময় একটু বেশিই সংবেদনশীল ছিলেন, কারণ সেই সময় তাঁর কর্মজীবন খারাপ অবস্থার মধ্যে ছিল।
যদিও রানি বিষয়টা মনে রাখেননি, এমনকী সেই সময় করণকে এই নিয়ে কিছু বলেনওনি, বরং সেই ছবিতেই “মাহি বে” গানে একটি ক্যামিওতে হাজিরও হন। তবে কষ্টটা তাঁর মনে ছিল। যা পরবর্তী সময়ে করণের শোতে স্বীকার করেন। করণ তৎক্ষণাৎ বিষয়টার জন্য রানির কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। সম্প্রতি মুম্বইতে করণের গ্র্যান্ড ৫০ তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রানি সব পুরনো বাজে স্মৃতি ভুলে।‘কফি উইথ করণ’ নতুন সিজন আবার ফিরে আসছে। তবে এবার টেলিভিশনের পর্দায় নয়, ডিজিটাল মাধ্যেমে আসছে এই শো।