চলতি বছরে এই নিয়ে অক্ষয় কুমারের দ্বিতীয় ফ্লপ ছবি। সূর্যবংশীর ২০২১ সালে ছিল বক্স অফিস হিট। এরপর ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি বচ্চন পান্ডে সাফল্যের মুখ দেখতে পারেনি। বেশ কিছুমাসের বিরতিতে মুক্তি পায় পৃথ্বীরাজ। এই ছবি ভীষণ যত্ন নিয়ে ও বিগ বাজেট নিয়োগ করেই বানানো হয়েছিল বলে দাবি নির্মাতাদের। যার ফলে এক মোটা অঙ্কের টাকা ক্ষতি হয় পৃথ্বীরাজ ছবি থেকে। ২০০ কোটি ব্যয়ে তৈরি হয়েছিল ছবি। পোশাক থেকে শুরু করে সেট, সবের পিছনে ঢালা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ অর্থ, যদিও ছবিকে যতই সুন্দর করে তোলার দাবি করুক না কেন অক্ষয় কুমার, ভক্তরা তা মেনে নিতে নারাজ।
যার উত্তর মিলেছে বক্স অফিসে। মোটের ওপর ৪০ কোটিও আয় করতে পারেনি এই ছবি। অক্ষয় কুমার অভিনীত ছবি যে ওটিটি-তেও সাফল্যের মুখ দেখছে ব্যপকভাবে তেমনও নয়। কারণ মাত্র ১০ কোটির বিনিময়ে এই ছবি কিনেছে আমাজন প্রাইম। রাত পোহালেই ওটিটি-তে অক্ষয় অভিনীত ছবি পৃথ্বীরাজ মুক্তি পেতে চলেছে। শর্ত অনুযায়ী ছবি মুক্তির চার সপ্তাহের মাথায় ওটিটি মুক্তি পাবে এই ছবি। সেই মতোই জুলাইয়ের ১ তারিখে ওটিটি-তে আসতে চলেছে পৃথ্বীরাজ।
বাকি ক্ষতির ১৫০ কোটির মধ্যে স্যাটালাইট থেকে ১০০ কোটি আয়ের পরিকল্পনা করছে ছবি নির্মাতারা। সেক্ষেত্রেও মোটের ওপর ৫০ কোটি টাকা ক্ষতির ভার বইতে হবে পৃথ্বীরাজ টিমকে। যদিও অক্ষয় কুমার ছবির ব্যবসা নিয়ে কোনও মন্তব্যই করেননি। তিনি পরবর্তী ছবির বাজারেই নজর রেখেছেন বর্তমানে। কথা ছিল রাম সেতু মুক্তি পাবে ওটিটি-তে। তবে ক্ষতির অঙ্ক সামাল দিতে তিনি এবার স্থির করেছেন তা বড় পর্দায় মুক্তি করবেন। অক্ষয়ের জীবনে ফ্লপ এই প্রথম নয়। একটা সময় বছরে ৯টি ছবি ফ্লপ করেছিলেন তিনি। তবে মাঝের গ্রাফটা গিয়েছিল পাল্টে। অক্ষয় পর্দায় থাকা মানেই ছবির কম করে ২০০ কোটির ক্লাবে জায়গা করে নিচ্ছিল। তবে শেষ দুই ছবির ক্ষেত্রে বিষয়টা যায় পাল্টে। এখন আগামীর একগুচ্ছ ছবি ঘিরে আশাবাদী ভক্তমহল।