৯০-এর দশকে রমরমা বাজার ছিল কৌতুকাভিনেতা জনি লিভারের। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাজ কমে গিয়েছে তাঁর। বছরে সর্বসাকুল্যে একটি অথবা দুটি ছবি। তাঁর সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি রোহিত শেট্টির ‘সার্কাস’ বক্সঅফিসে সাফল্য লাভ করতে পারেনি। এক কালের হিট অভিনেতা কেন এত কম কাজ পান এখন? বাজিগর ছবির বাবুলাল প্রতিযোগিতার বাজারে কোথায় হারিয়ে গেলেন? এক সাক্ষাৎকারে হারিয়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে মুখ খুলেছেন জনি। তিনি জানিয়েছেন, এখন কমেডি ছবির পরিমাণ ও ছবিতে কমেডির পরিমাণ অনেক কমে গিয়েছে। তবে এখানেই কিন্তু শেষ নয়, জনি সরাসরি আঙুল তুলেছেন হিরোদের দিকে।
তিনি আরও বলেন, “কখনও কখনও হিরোরা বেশ ভয় পেয়ে যেত। আর আমার দৃশ্যগুলোও কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হতো। আমার দৃশ্যগুলো নিয়ে উন্মাদনা দেখে ওরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করে। লেখকরাও হিরোদের কমেডি দৃশ্যগুলো দিয়ে দিতে শুরু করে। আর ফলত আমার চরিত্র ক্রমশ ছোট হতে শুরু করে। কমেডি আর নেই।” দীর্ঘ কেরিয়ারে ৩০০-রও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন জনি। মাঝেমধ্যে শখের বশে স্ট্যান্ডআপ কমেডিও করেছেন। বড় পর্দায় বিরতি পাওয়ার আগে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় মিমিক্রি করতেন তিনি।
তাঁর দুই সন্তান– জেমি ও জেসি। বাবার মতো তাঁরাও বিনোদন জগতকে বেছে নিয়েছেন। মেয়ে জেমি তো নেটদুনিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। বাবা ও মেয়ে মিলে ২০১৯ সালে হাউজফুল ছবিতে কাজ করেন। পেয়েছেন বহু পুরস্কারও। কম কাজ পেলেও তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা কিন্তু নেহাত কম নয়।