Payel Shocked: ‘চোখে ঘুম কোথায়? কখন কী ঘটে যায়…,’ আতঙ্কিত পায়েল সরকার
Payel Shocked: ''কতজনই বা বিমানের খবর বহন করতে পারেন? বেশিভাগ মানুষেরই তো ভরসা রেল। আর সেখানেই যদি নিরাপত্তার এই অবস্থা হয়ে থাকে, ফলে মনে তো একটা সংশয় প্রতিবারই চলে আসে।''
১৭ জুন, সকাল হতেই ভয়াবহ খবর, শোনা মাত্রই আঁতকে উঠলেন সকলে। আরও এক ট্রেন দুর্ঘটনা। একই লাইনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ও মালগাড়ি। এক্সপ্রেস ট্রেনকে পিছন থেকে ধাক্কা মালগাড়ির, মুহূর্তে ট্রেনের পিছনের দুই বগি লাইন থেকে ছিটকে বেড়িয়ে যায়। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় মৃত্যের সংখ্যা বেড়ে ১৫, ৬০-এর বেশি যাত্রী আহত। খবরে আরও একবার আতঙ্ক ছড়ালো সকলের মনে। ভারতের বুকে যাতায়াতের প্রাণ কেন্দ্র রেল। আর সেই রেল দুর্ঘটনায় আরও একবার ঘুম উড়ল সকলের। শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। পর পর রেল দুর্ঘটনায়, বাড়ছে আতঙ্ক। চিন্তার ভাঁজ অভিনেত্রী পায়েল সরকারের কপালেও। TV9 বাংলাকে বললেন, ”ট্রেন আমাদের দেশের সবথেকে বেশি ব্যবহৃত, বিশেষ করে দূরে যাতায়াতের জন্যে। কতজনই বা বিমানের খবর বহন করতে পারেন? বেশিভাগ মানুষেরই তো ভরসা রেল। আর সেখানেই যদি নিরাপত্তার এই অবস্থা হয়ে থাকে, ফলে মনে তো একটা সংশয় প্রতিবারই চলে আসে। পরপর কয়েকটা ট্রেন দুর্ঘটনা দেখলাম। ফলে রেলে সফর কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে কি মনে প্রশ্ন তৈরি হওয়া কি ভুল?”
এখানেই শেষ নয়, তিনি নিরাপত্তা প্রসঙ্গে পায়েল বলেন, ”আমি এটা বলছি না, যে নিরাপত্তায় নজর দেওয়া হচ্ছে না। তবে যেটা হচ্ছে সেটা যে যথেষ্ট নয়, তা কিন্তু বলাই যায়। আরও আরও আরও অনেক বেশি নজর দিতে হবে। মানুষের প্রাণের থেকে তো বেশি আর কিছুর মূল্য হতে পারে না। এবার তো ট্রেনে ওঠা আতঙ্ক হয়ে যাবে। মানুষ কি তবে ট্রেনে যাতায়াত বন্ধ করে দেবেন? করে দেবেন তো যাবেন কোথায়? কীভাবে যাবেন? আর সেলিব্রিটি মানেই যে বিমানে যাতায়াত এমনটা কিন্তু নয়। অনেকে ট্রেনে উঠতেই পছন্দ করেন। কেউ কেউ আর্থিক ক্ষমতা থাকলেও বিমান ছেড়ে ট্রেনে ওঠেন, কারণ পছন্দ করেন। অনেকে মনে করেন, আমি রাতে একটু ঘুমিয়ে নেব, বিশ্রামও হবে। সঠিক সময় গন্তব্যে পৌঁছে যাব। এই কারণেও অনেকে ট্রেনে উঠে থাকেন। তবে এবার তো বিশ্রাম মাথায় উঠবে, সারা রাত বুকে হাত দিয়ে তো তাহলে ট্রেন পাহাড়া দিতে হয়, কখন কী হয়! কিছু হবে না তো-কিছু হবে না তো… এই ভয় তো মনে ঢুকে যাচ্ছে। আমাদের দেশ তো ট্রেনের দ্বারা ভীষণ ভালভাবে যুক্ত। একটা ট্রেন চলার পিছনে তো অনেক সমীকরণ কাজ করে, ট্র্যাক, সিগন্যাল থেকে শুরু করে টেকনোলজি, সবটা নিশ্চয়ই খুব যত্নের সঙ্গে চোখে চোখে রাখা হয়, তবে একটা সামান্য ভুল কত পরিবারের কোল খালি করে দেয় বলুন তো! আমারও তো মনে হতে পারে, এই ট্রেনে পা রাখলাম, ফেরা হবে তো…।”