সব মা-ই চেষ্টা করেন আদর্শ মা হতে। যার জন্য তাঁরা ২৪X৭ পরিশ্রম করেন। সংসার থেকে সংসারের বাইরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে। এই করতে গিয়ে তাঁরা নিজেদের ভুলে যান। মাতৃদিবসে এই কথাগুলো নিজের সোশ্যাল মাধ্যমে ভাগ করলেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী (Priyanka Trivedi)। এখন অবশ্য তিনি প্রিয়াঙ্কা উপেন্দ্র। এক সময় চুটিয়ে বাংলা ছবিতে কাজ করেছেন প্রিয়াঙ্কা। জিতের প্রথম ছবির নায়িকা প্রিয়াঙ্কা। বিয়ের পর তিনি দক্ষিণে চলে যান। সেখানে নিয়মিত সিনেমা করেন। এখন তিনি দুই সন্তানের মা। বহুদিন এই শহর থেকে দূর্। শেষ বাংলা ছবি করেছেন ২০১১ সালে। ‘শ্রীমতি’ আর ‘হ্যালো মেমসাহেব’ ছিল তাঁর অভিনীত শেষ দুটি বাংলা ছবি।
দুই সন্তানের মা প্রিয়াঙ্কা নিজের জীবন দিয়ে যা উপলব্ধি করেছেন, তাই ভাগ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। তিনি মনে করেন, সব মা-ই চেষ্টা করেন, তবে কর্মরতা মায়েরা সংসার আর কাজের জায়গা দুই জায়গা সামলাতে গিয়ে মাঝে-মধ্যেই নিজেরা মানসিক ও শারিরীকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনি বুঝেছেন, কোন মায়েরই উচিত নয় চেষ্টা করা আদর্শ মা হওয়ার। বরং তার থেকে খুশি মা হওয়া অনেক ভাল। সন্তান আর নিজে দুজনেই এত খুশি থাকা যায়।
মা হওয়া যেমন খুশির, তেমনই খুব কঠিন কাজ বলেই মনে করেন প্রিয়াঙ্কা। সন্তানের জন্ম হওয়ার পর এমনিতেই অভিনেত্রীদের তাঁদের চেহারা নিয়ে নানা মন্তব্য শুনতে হয়। কিন্তু কখনই সন্তান হওয়ার পর অনেক পরিবর্তন হয় মেয়েদের শরীরে। যেটা স্বাভাবিক। তার পরিবর্তন করা সহজ নয় সবার জন্য। খালি সময়ই থাকে না একজন মায়ের কাছে।
নিজের একটি অভিজ্ঞতাও তিনি ভাগ করেছেন এই লেখার সঙ্গে। একবার তাঁর মেয়ের খুব জ্বর হয়েছিল। তিনি শুটিংয়ে ছিলেন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু এতে তাঁর কোনও অপরাধবোধ হয়নি। কারণ তিনি বলেছেন, “মা হওয়া ছাড়াও আমার একটা অন্য জগৎ রয়েছে। আমার মনে হয়, আদর্শ মা হওযার থেকে ভাল খুশি মা হওয়া”। ‘মাস্টার অংশুমান’ নামে একটি বাংলা ছবি তৈরি হয়ে রয়েছে জিতের নায়িকার।